Sisodia-Jain Resign: জোড়া সেনাপতির পতন, সুপ্রিম ধাক্কার পরই কেজরীবাল মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা মণীশ-সত্যেন্দ্রর
Sisodia-Jain Resign: মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে মনীশ সিসোদিয়া এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সত্যেন্দ্র জৈন ইস্তফা দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল দুজনেরই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন কারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর কিছুক্ষণ পরই রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মনীশ সিসোদিয়া। শুধু তিনই নন, এর আগেই অন্য এক আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া সত্যেন্দ্র জৈনও একইসঙ্গে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল দুজনেরই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। সিসোদিয়ার হাতে যে দফতরগুলি ছিল, সেগুলির দায়িত্বে আনা হল কৈলাশ দেহলট এবং রাজ কুমার আনন্দকে।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে দিল্লি সরকার যে আবগারি নীতি প্রণয়ন করেছিল, সেই নীতির বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগে রবিবার সন্ধ্যায় মনীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আর ২০২১-এর মে মাসে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এতদিন ধরে তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্ত, তাঁকে ক্লিন চিট দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদেই রেখে দিয়েছিলেন কেজরীবাল।
দিল্লি নয়া আবগারি নীতি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই তদন্ত করছে সিবিআই। দিল্লির উপরাজ্যপাল হওয়ার পরই এই বিষয়ে সিবিআই-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিনয় কুমার সাক্সেনা। একেবারে শুরু থেকেই এই মামলায় মনীশ সিসোদিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। সেই সময় সামনে গুজরাট নির্বাচন ছিল। কেজরীবাল দাবি করেছিলেন, গুজরাটে সিসোদিয়া যাতে ভোট প্রচারে অংশ নিতে না পারেন, সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু, রবিবার বিকেলে সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর, সোমবারই দিল্লি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক রামবীর সিং বিধুরি গ্রেফতার হওয়া দুই মন্ত্রী – মণীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈনকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি তোলেন।
আম আদমি পার্টি অবশ্য বলেছিল, সিসোদিয়ার বদলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়াটা খুব তাড়াহুড়ো করা হয়ে যাবে। বস্তুত, দিল্লি সরকারের ৩৩টি বিভাগের মধ্যে ১৮টিরই দায়িত্বে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। গত বছরের মে মাসে সত্যেন্দ্র জৈনকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে গ্রেফতার করার পর তাঁর কাজের চাপ বেড়েছিল। স্বাস্থ্য, শিল্প, বিদ্যুৎ, আবাসন, নগরোন্নয়ন, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জলের মতো সত্যেন্দ্র জৈনের হাতে থাকা দফতর ও বিভাগগুলি বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট মণীশ সিসোদিয়ার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরই দুই মন্ত্রী একযোগে ইস্তফা দিলেন।