Dengue Outbreak in Delhi: আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও উদাসীন প্রশাসন! ডেঙ্গু মোকাবিলায় পুরসভাকে নোটিস ধরাল আদালত
Dengue Outbreak in Delhi: শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই দিল্লিতে ১ হাজার ১৭১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২১৭ জন।
নয়া দিল্লি: একে তো ভয়াবহ বায়ুদূষণ (Air Pollution), তার উপর আবার ডেঙ্গু(Dengue)-র প্রকোপও বাড়ছে রাজধানীতে। দুই মিলিয়ে দিল্লি(Delhi)-র সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। সোমবারই দিল্লিতে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার পার হয়েছে। এ দিকে, প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) অভিযোগ জানানোয় মঙ্গলবারই আদালতের তরফে দিল্লি সরকার (Delhi Government) ও উত্তর দিল্লি পুরসভা(North Delhi Municipality Corporation)-কে নোটিস ধরানো হল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই দিল্লিতে ১ হাজার ১৭১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২১৭ জন। অক্টোবরের শেষ তারিখ পর্যন্ত রাজধানীতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৩৭ জন। বিগত তিন বছরের ইতিহাসে ডেঙ্গির এমন প্রকোপ দেখেনি দিল্লি।
২০২০ সালেও দিল্লিতে ডেঙ্গুতে প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও তা এইরকম ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার পার হওয়ায় হাসপাতালগুলির উপরও বেড়েছে চাপ। প্রতিদিনই আউটডোরে প্রচুর মানুষ জ্বর, গা-হাত-পা ব্য়াথা নিয়ে আসছেন, রক্ত পরীক্ষা করলে দেখা যাচ্ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তারা। দিল্লিতে যে পরিমাণ ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে একটি বড় অংশ উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আনুমানিক প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ উত্তর প্রদেশ থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে ভরতি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অনেক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর শরীরেই ডেঙ্গির সেরোটাইপ ২ ভাইরাস দেখা যাচ্ছে। এই সেরোটাইপ ২ ভাইরাস ডেঙ্গু হেমোব়্যাগিক ফিভার (DHF)হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর এতে রক্তপাত সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ডেঙ্গুর এক ধরনের চক্রাকার পর্যায়। প্রত্যেক তিন চার বছর অন্তর ডেঙ্গুর প্রকোপ এইভাবে বেড়ে যায়। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় দিল্লির চিকিৎসকদের একাংশ এটিকে মহামারি ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন।
এ দিকে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে সম্প্রতিই দিল্লি হাইকোর্টে একটি আর্জি দাখিল করেছিলেন উত্তর দিল্লির এক বাসিন্দা। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকার ও উত্তর দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনকে নোটিস দিয়ে জানতে চাওয়া হয় সংক্রমণ প্রতিরোধে তারা কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আগামী ১৮ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আদালতে দাখিল করা আর্জিপত্রে জানানো হয়েছে, প্রতি সপ্তাহেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশাসনের তরফে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। তাদের উদাসীনতার কারণেই আশেপাশের এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর্জি দাখিলকারী নিজেও জেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
পিটিশনে আরও বলা হয়েছে যে, বাড়ির শিশু ও বয়স্করাও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন। হাসপাতালগুলিতে যে হারে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে আগামিদিনে বেড না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। শিশু ও বৃদ্ধরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে, তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনাও বেশি।