Delhi High Court: ‘আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়’, পুলিশকেই বেতন থেকে ৫০,০০০ ‘ক্ষতিপূরণ’ দিতে বলল আদালত
Delhi High Court: নির্দেশনামায় হাইকোর্ট বলেছে, পুলিশ অফিসারদের কাছে এই বার্তা পৌঁছনো উচিত যে তারাও আইনের উর্ধ্বে নয়। অবৈধভাবে কাউকে আটক করা যায় না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: নিয়ম ভাঙলে জরিমানা নিতে এগিয়ে আসে পুলিশ। প্রতিনিয়ত রাস্তা-ঘাটে এমন দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত সাধারণ মানুষ। কিন্তু পুলিশ আইন ভাঙলে কী হবে? তারও কি শাস্তি হয়? কিংবা জরিমানা? সচরাচর এমনটা শোনা না গেলেও এবার আদালত বুঝিয়ে দিল আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়, পুলিশও না। আইনের রক্ষক আইন ভাঙলে তাঁকে দিতে হবে জরিমানা, এমনটাই পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। একটি মামলায় এক ফল বিক্রেতাকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। এই নির্দেশের ফলে সমাজে একটা অর্থবহ বার্তা যাবে বলে পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রমন্যম প্রসাদের।
এক মহিলার ক্রেতার সঙ্গে বাদানুবাদের জেরে ওই ফল বিক্রেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে লক আপে ঢুকিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই বিক্রেতার বিরুদ্ধে না ছিল কোন এফআইআর, না তাঁকে নিয়ম অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরও কেন পুলিশ এভাবে তাঁকে লক আপে ঢোকাল? সেই প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ফল বিক্রেতা। এই ঘটনায় তাঁর অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। গত বছর সেপ্টেম্বরে ওই ঘটনা ঘটে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারীকে গ্রেফতার না করা সত্ত্বেও, কোনও কারণ না থাকার পরও লক আপে ঢোকানো হয়েছিল। এক্ষেত্রে পুলিশ ক্ষমতা প্রদর্শন করতে সংবিধানও লঙ্ঘন করেছে বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। সাধারণ মানুষের সঙ্গে এমন ব্যবহার করা যায় না বলে উল্লেখ করেছে আদালত। খুব কম সময় হলেও এক্ষেত্রে একজনের নাগরিকের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে বলেও পর্যবেক্ষণ। এরপরই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ, অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে নিজেদের বেতন থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে ওই ফল বিক্রেতাকে। ক্ষতিপূরণ স্বরূপ দিতে হবে ওই টাকা। নির্দেশনামায় হাইকোর্ট বলেছে, পুলিশ অফিসারদের কাছে এই বার্তা পৌঁছনো উচিত যে তারাও আইনের উর্ধ্বে নয়। অবৈধভাবে কাউকে আটক করা যায় না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।