Jahangirpuri Violence: জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষে উদ্বেগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা ৫ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে
Jahangirpuri Violence: গোটা ঘটনায় এখনও ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ, এরমধ্যে ৩ জন নাবালকও রয়েছে। ধৃত ২৪ জনের মধ্যেই ৫ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন বা জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় নেওয়া হল আরও কড়া পদক্ষেপ। গত শনিবার দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় ইটবর্ষণ ও সংঘর্ষের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পাঁচজনের নামে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হল। জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনসার, সালিম, ইমাম শেখ, দিলসাদ ও আহির। উল্লেখ্য, এই আইনে অভিযুক্তদের বিনা কোনও ধারায় বা চার্জে এক বছর অবধি আটক করে রাখা যায়।
শনিবার দিল্লিতে হনুমান জয়ন্তী ঘিরে সংঘর্ষের পরই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। সোমবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানাকে ফোন করেন এবং হিংসার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।
গোটা ঘটনায় এখনও ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ, এরমধ্যে ৩ জন নাবালকও রয়েছে। ধৃত ২৪ জনের মধ্যেই ৫ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইন বা জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। যদি অভিযুক্তদের বয়ানে সরকার সন্তুষ্ট না হয় কিংবা তারা দেশের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়, তবে তাদের এক বছর অবধি বিনা চার্জেই আটক করে রাখা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন ঘিরে যে দাঙ্গা লেগেছিল, সেই উদাহরণ টেনে বলা হয়, জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দিল্লি পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে তদন্তে যাতে কোনও গাফিলতি না থাকে।
কী হয়েছিল সেদিন?
গত সপ্তাহের শনিবার দিল্লিতে হনুমানজয়ন্তী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের করা হয়েছিল। এই শোভাযাত্রার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। জাহাঙ্গিরপুরীর একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয়দের দাবি, মসজিদে সেই সময় আজ়ান দেওয়া হচ্ছিল। এদিকে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা থেকেও ধর্মীয় স্লোগান দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাথর ছোড়াছুড়ি হয় এবং পরে গুলিও চালানো হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন ৮ জন পুলিশকর্মী। এই ঘটনার পরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো দেখে একে একে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।