Delhi: দরজা-জানালা পলিথিন দিয়ে আঁটা, নব খোলা গ্যাসের, দুই মেয়ে ও মায়ের দেহের পাশে জ্বলছে উনুন!

Delhi: দক্ষিণ দিল্লির এক অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে মিলল এক মহিলা ও তাঁর দুই কন্যার দেহ। নিজেদের ফ্ল্যাটকে গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছিলেন তাঁরা মনে করছে পুলিশ।

Delhi: দরজা-জানালা পলিথিন দিয়ে আঁটা, নব খোলা গ্যাসের, দুই মেয়ে ও মায়ের দেহের পাশে জ্বলছে উনুন!
ঘটনাস্থলে এসে তিনজবের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2022 | 6:34 PM

নয়া দিল্লি: শনিবার দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত বিহার এলাকার এক অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে মিলল এক মাঝ-বয়সী মহিলা (বয়স ৫০-এর ঘরে) এবং তাঁর দুই মেয়ের দেহ। তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। তবে, চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে ওই ঘরে পাওয়া একটি নোট। সাবধান করে লেখা হয়েছিল, তাঁদের ঘর বিষাক্ত গ্যাসে পূর্ণ। ঘরে ঢুকে যেন কোনও দেশলাই না জ্বালা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর, পুলিশের অনুমান নিজেদের ফ্ল্যাটবাড়িকে রীতিমতো ‘গ্যাস চেম্বারে’ পরিণত করেছিলেন তাঁরা।

দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ-পশ্চিম) জানিয়েছেন, শনিবার বিকালে বসন্ত বিহার এলাকার এক অভিজাত আবাসন থেকে ফোন এসেছিল পুলিশের কাছে। জানানো হয়েছিল, ওই ফ্ল্যাটের দরজা লক করা আছে এবং ভিতর থেকে কেউ সাড়া দিচ্ছেন না। এরপরই, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ওই তিনজনের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটের যাবতীয় দরজা-জানলা পলিথিন দিয়ে আঁটসাঁট করে সিল করা ছিল। সেই সঙ্গে খুলে রাখা হয়েছিল রান্নার গ্যাসের নব। আর দেহগুলির পাশেই জ্বলছিল একটি কয়লার উনুন। এর ফলে গোটা ঘরটি বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসে পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। ওই বিষাক্ত গ্যাস তাদের ফুসফুসে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে মা এবং দুই মেয়ের, এমনটাই মনে করছে পুলিশ।

সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয়, দেহগুলির সঙ্গে একটি নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। কোনও সুইসাইড নোট নয়, সেটি বস্তুত এক সতর্কবার্তা। ওই সতর্কবার্তা ছিল পুলিশ বা তাদের দেহ উদ্ধারে যাঁরা আসবেন, তাদের প্রতি। ইংরাজী ও হিন্দি ভাষায় মারাত্মক কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসে তাদের ফ্ল্যাট ভর্তি থাকবে বলে সাবধান করা হয়েছে। ওই গ্যাসের মধ্যে শ্বাস নিতে বারণ করা হয়েছে। জানলা-দরজা খুলে প্রথমে ওই গ্যাস বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে, ঘরের গ্যাসে দাহ্য রান্নার গ্যাস মিশে রয়েছে বলে, কাউকে ঘরের মধ্যে দেশলাই বা মোম জ্বালতেও নিষেধ করা হয়েছে।

আত্মঘাতী মহিলার নাম মঞ্জু। তাঁর দুই কন্যার নাম অংশিকা এবং অঙ্কু। তাদের গৃহপরিচারিকা এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁরা তিনজনেই গত কয়েক মাস ধরে অবসাদে ভুগছিলেন। গত বছর কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল মঞ্জুর স্বামীর। তারপর থেকেই ক্রমশ নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিলেন তাঁরা। পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা করতেন না। মঞ্জুর শরীর-স্বাস্থ্যও ভাল ছিল না, শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন। প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ আত্মহত্যার দিকে ইঙ্গিত করলেও, এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্বেচ্ছায় কেন এত কঠিন মৃত্যুর রাস্তা বেছে নিলেন তাঁরা, সেই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে তাদের।