Delhi Air Pollution: ‘ভাল’ বাতাসের আশায় দিল্লিবাসী, সুপ্রিম কোর্টে লকডাউনের প্রস্তাব জমা দেবে সরকার

Lockdown Plan to Submitted in SC: গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে বাতাসের গড় গুণমান ছিল ৩৩০, যা বিগত দিনগুলির তুলনায় ভাল। পঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও খড়কুটো জ্বালানো বন্ধ হওয়ায়, সেখানেও দূষণের মাত্রা ধীরে ধীরে কমছে বলে জানা গিয়েছে।

Delhi Air Pollution: 'ভাল' বাতাসের আশায় দিল্লিবাসী, সুপ্রিম কোর্টে লকডাউনের প্রস্তাব জমা দেবে সরকার
দিল্লির বাতাসের গুণগত মান এখনও খারাপ পর্যায়েই। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 6:56 AM

নয়া দিল্লি: ছুটির দিনে সামান্যতম ভাল বাতাসে শ্বাস নিলেন দিল্লিবাসী। দীপাবলির পর থেকে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে যে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে বায়ু দূষণ (Air Pollution), তা কিছুটা হলেও কমল রবিবার। ‘বিপজ্জনক’ মাত্রা থেকে ‘অতি খারাপ’ পর্যায়ে নেমে এসেছে দিল্লি(Delhi)-র বাতাসের গুণমান (Air Quality Index)।

গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে বাতাসের গড় গুণমান ছিল ৩৩০, যা বিগত দিনগুলির তুলনায় ভাল। পঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও খড়কুটো জ্বালানো বন্ধ হওয়ায়, সেখানেও দূষণের মাত্রা ধীরে ধীরে কমছে বলে জানা গিয়েছে। গতকাল গাজিয়াবাদের বাতাসের গুণমান ছিল ৩৩১, গুরুগ্রামে ২৮৭, নয়ডায় ৩২১, ফরিদাবাদে ২৯৮ ও গ্রেটার নয়ডায় ৩১০ ছিল।

উল্লেখ্য, বায়ু মান সূচকের মান শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তাকে “ভাল” পর্যায়ে রাখা হয়, যা শ্বাস নেওয়ার পক্ষে ভাল। ৫১-১০০ হলে তা “মাঝারি” পর্যায়ে রাখা হয়। ১০১-১৫০ হলে তা খারাপ হিসাবেই গণ্য করা হয়। যাঁদের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের পক্ষে এই বাতাস অস্বাস্থ্যকর বলেই গণ্য করা হয়। বায়ু মান সূচক ১৫১-২০০ হলে তাকে “অস্বাস্থ্যকর” বা “খারাপ” পর্যায়ে রাখা হয়, যা সকলের পক্ষেই অস্বাস্থ্যকর। সূচক ২০১-৩০০ হলে, তাকে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসাবে গণ্য করা হয়। ৩০১-৫০০ হলে সেই বাতাসকে বিপজ্জনক হিসাবে গণ্য করা হয়।

শুক্রবারই দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ছিল ৪৭১, যা এই মরশুমের সবথেকে দূষিত দিন বলে গণ্য করা হচ্ছে। এ দিকে, আজই সুপ্রিম কোর্টে দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। গত শনিবারই শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল দ্রুত বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাদের কী পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরই সেদিন জরুরি বৈঠকে বসেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তৈরি করা হয় চার ধাপে দূষণ নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা। দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, আজ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার লকডাউন সহ অন্যান্য পরিকল্পনাগুলি জমা দেবে।

অন্যদিকে, আজ থেকেই এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে দিল্লির সমস্ত স্কুল। আপাতত অনলাইনেই চলবে ক্লাস। সরকারি দফতরগুলিতেও বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী সাতদিনের জন্য। বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও অনুরোধ করা হয়েছে তারাও যেন যথাসম্ভব কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়।

নির্মাণকাজে (Construction Work) সবথেকে বেশি ধুলিকণা উৎপন্ন হওয়ায় আগামী ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর অবধি দিল্লি জুড়ে সমস্ত রকমের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি কোনও প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে বারণ করা হয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাগুলিকেও ওয়ার্ক ফ্রম হোম, কার পুলিংয়ের মতো নানা উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Bihar: পুলিশের চর সন্দেহে একই পরিবারের ৪ জনকে খুন করে গাছে ঝোলাল মাওবাদীরা