Omicron Symptom: ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে কী কী উপসর্গ দেখা যায়? জানালেন এই ভ্যারিয়েন্টের প্রথম শনাক্তকারী চিকিৎসক
Omicron Symptom: দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করায় চিকিৎসক কোয়েটজি বলেন, অনেক মানুষ হাসপাতালে গলা ব্যাথা বা সর্দি নিয়ে পরীক্ষা করাতে আসছেন, যার ফলে বেশি সংখ্যায় আক্রান্তের সংখ্যা নথিবদ্ধ হচ্ছে। এর মধ্যেই কর্ণাটকে ওমিক্রন আক্রান্তের খবর সরকারকে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।
নয়া দিল্লি: কোভিড-১৯ এর নতুন সংস্করণ ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের এই নতুন সংস্করণের প্রথম শনাক্ত করেন চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি। সম্প্রতিই তিনি দেশে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রকাশ পাওয়া লক্ষণগুলির ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন। সর্বভারতীয় এক চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকা নেওয়া এবং না নেওয়া দুই ধরনের মানুষের শরীরেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে, তবে তার লক্ষণ অতি সামান্যই।
তিনি বলেছেন, ‘সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে এবং পজিটিভিটির হার দাঁড়িয়েছে ১৬.৫ শতাংশে। টিকাকরণ হওয়া, না হওয়া মানুষ এবং শিশুদের মধ্যে এর সামান্য লক্ষণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সম্পূর্ণ টিকাকরণ হওয়া এক ব্যক্তির আবার সংক্রমিত হওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। ওমিক্রন আক্রান্ত একজন রোগীর ক্লিনিক্যাল ছবি আঁকা ভীষণই মুশকিল। তবে আক্রান্তদের শরীরে লক্ষণগুলি এখনও পর্যন্ত সামান্যই দেখা যাচ্ছে এবং তাদের এখনও অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ছে না।’
দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করায় চিকিৎসক কোয়েটজি বলেন, অনেক মানুষ হাসপাতালে গলা ব্যাথা বা সর্দি নিয়ে পরীক্ষা করাতে আসছেন, যার ফলে বেশি সংখ্যায় আক্রান্তের সংখ্যা নথিবদ্ধ হচ্ছে। এর মধ্যেই কর্ণাটকে ওমিক্রন আক্রান্তের খবর সরকারকে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।
৬৬ বছর বয়সী ওই আক্রান্ত ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক এবং তার দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার ইতিহাস রয়েছে, অন্যদিকে দ্বিতীয় ব্যক্তির কোনও যাত্রার ইতিহাস নেই আর তিনি বেঙ্গালুরু একজন স্বাস্থ্যকর্মী। দুজনেরই গত ২২ নভেম্বর করোনা পরীক্ষা হয়েছিল এবং সামান্য লক্ষণ সহ তাদের পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে ৬৬ বছর বয়সী আক্রান্ত ব্যক্তি গত ২০ নভেম্বর বেঙ্গালুরুর বিমান বন্দরে নামেন আর বিমানবন্দরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই নমুনা পরীক্ষা করেই তা পজিটিভ পাওয়া যায়। ওই ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে দুবাই যান। বৃহত্তর বেঙ্গালুরু পুরনিগমের (BBMP) কমিশনার গৌরব গুপ্তার বক্তব্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির অসুস্থতার খবর পেয়ে হোটেলেই শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার পর দেখা যায়, অ্যাসিমটোমেটিক উপসর্গ রয়েছে তাঁর। ওই ব্যক্তিকে হোটেলেই আইসোলেটেড থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এরপর ২২ নভেম্বর ওই ব্যাক্তির নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয় এবং তা বিবিএমপির মাধ্যমে জেনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। এরপর এই ব্যক্তি নিজেই ২৩ নভেম্বর একটি বেসরকারি ল্যাবে যান পরীক্ষা করতে এবং তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। সূত্রের মতে ওই ব্যক্তি প্রত্যক্ষভাবে ২৪ জনের এবং পরোক্ষভাবে ২৪০ জনের সঙ্গে সংস্পর্শে আসেন। তাদের সকলেরই পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যক্তি এরপর ২৭ নভেম্বর দুবাই ফিরে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Omicron on tourism: ওমিক্রনের জোর ধাক্কা! একের পর এক বাতিলে অনিশ্চয়তায় পর্যটন ব্যবসা