Drug Trafficking: পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার ৫ পুলিশকর্মী সহ ১৭

মাদক পাচার মামলায় উপত্যকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অনেক পুলিশকর্মী ও জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এবছর সেই অভিযোগ যে একেবারে হাতেনাতে প্রমাণিত, তা বলা বাহুল্য।

Drug Trafficking: পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার ৫ পুলিশকর্মী সহ ১৭
কাশ্মীরে মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশকর্মী সহ ১৭
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2022 | 6:06 PM

শ্রীনগর: মাদক পাচার রোধে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পাশাপাশি মাদক পাচারের বিরুদ্ধে জোর অভিযান শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশও। এবার পুলিশি অভিযানে মাদক পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার হল ১৭ জন। যার মধ্যে রয়েছেন ৫ পুলিশকর্মী। শুক্রবার কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে থেকে এদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কুপওয়াড়ার সিনিয়র সুপারিটেন্ডেন্ট অফ পুলিশ (SSP) ইয়োগল কুমার মানহংস বলেন, “আমরা মাদক পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এদিনই মাদক পাচারের অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ পুলিশকর্মী, এক দোকানদার, এক রাজনৈতিক নেতা এবং এক কন্ট্রাক্টার রয়েছে।” পাকিস্তান থেকে মাদক কাশ্মীরে নিয়ে আসা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন SSP। তিনি বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কিরণ সেক্টরের বাসিন্দা শাকির আলি খান মাদক সরবরাহ করত তার ছেলে তামহিদ আহমেদকে। তামহিদ ভারতের কিরণ সেক্টরের বসবাস করে।” অভিযুক্তদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি হানা ও অনুপ্রবেশের চেষ্টার পাশাপাশি আরেকটি বড় সমস্যা হল, মাদক সরবরাহ। পাকিস্তান থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে মাদক ভারতে প্রবেশ করানো হয় বলে অভিযোগ। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত কেবল কাশ্মীর জেলায় মোট ১৬১ জনের বিরুদ্ধে ৮৫টি মাদক পাচারের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মাদক পাচার মামলায় উপত্যকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অনেক পুলিশকর্মী ও জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এবছর সেই অভিযোগ যে একেবারে হাতেনাতে প্রমাণিত, তা বলা বাহুল্য।

গত বছর কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলার হান্দুয়ারা এলাকা থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক আধিকারিককে গ্রেফতার করেছিল জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NIA)। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে এই মাদক পাচারের যোগ ছিল বলে অভিযোগ। ঘটনায় ওই BSF আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে নগদ ৯১ লাখ টাকা উদ্ধার হয়। বিপুল পরিমাণ এই টাকা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে NIA সূত্রে খবর।