ইদ উপলক্ষে ছাড়, কেরল সরকারকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
আজ শেষ হচ্ছে ছাড়ের তিনদিনের মেয়াদ। এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত
নয়া দিল্লি: ইদ উপলক্ষে কোভিড বিধিতে তিন দিনের ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কেরল সরকার। আর সেই সিদ্ধান্তের জেরেই শীর্ষ আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল কেরল সরকারকে। যদিই কেরল সরকারের এই সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি, তবে বিচারপতিরা সতর্ক করে বলেন, এই সিদ্ধান্তের জন্য যদি খারাপ কোনও প্রভাব পড়ে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কানোয়ার যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট বেঁচে থাকার অধিকারের কথা উল্লেখ করেছিল। এ দিনও সে প্রসঙ্গ তোলে আদালত। আবেদনকারীকে এই বিষয়টা আদালতের নজরে আনার জন্য ধন্যবাদও দেন বিচারপতিরা। আদালতের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত খুবই উদ্বেগজনক। চাপ দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনে হস্তক্ষেপ করা উচিৎ নয় বলেও উল্লেখ করেছে আদালত।
বিচারপতি আরএফ নরিম্যান ও বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। কেরল সরকার আদালতে জানিয়েছে, গত ১৫ জুন থেকে লকডাউনে যে ছাড় দেওয়া শুরু হয়েছে। সেটাই জারি থাকবে। পাশাপাশি, আর্থিক সঙ্কট কাটাতে বকরি ইদের ব্যবসায়ীরা ভরসা করে ছিলেন বলেও জানিয়েছে সরকার ভাল হয়। আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন যাতে এ দিন আদালত কোনও নির্দেশ দেয়। আজই ছিল ছাড় দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু, বিচারপতিরা বলেন, যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তাই কোনও নির্দেশ দেননি তাঁরা।
কেরল সরকার রাজ্যে লকডাউনে তিনদিনের ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আজ ছিল তার শেষ দিন, শুরু হয়েছে রবিবার থেকে।বকরি ঈদ পালন করা হবে বুধবার। কাপড়, জুতো, গয়না, উপহার সামগ্রী, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ্ই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি। টুইটে তিনি বলেছেন, কেরল যেখানে করোনার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে উঠে এসেছে, সেথানে ইদের ছাড় দেওয়া উচিত হয়নি। আরও পড়ুন: ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন মমতা, অনলাইনে ভেসে উঠবে ‘জাগো বাংলা’র নতুন কলেবর