‘মৌখিক পর্যবেক্ষণ নিয়ে মিডিয়া রিপোর্ট অনুচিত’, ‘খুনি’ তকমায় ক্ষুব্ধ নির্বাচন কমিশন গেল মাদ্রাজ হাইকোর্টেই
কমিশনের দাবি, ষশুনানি চলাকালীন আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ নিয়ে যেন কোনও সংবাদ করতে না দেওয়া হয়। ইতিমধ্য়েই করেনা সংক্রমণের জন্য কমিশনকে দায়ী করেছে আদালত। এরফলে কমিশনের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।
নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য মাদ্রাজ হাইকোর্টে ভৎর্সনার মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন। সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে চর্চা শুরু হতেই মাদ্রাজ হাইকোর্টেরই দারস্থ হল কমিশন। আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ নিয়ে সংবাদমাধ্যম যাতে কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ না করে, সেই আবেদন জানানো হয়।
সম্প্রতি করোনা পরস্থিতিতে রাজনৈতিক সমাবেশে অনুমেোদন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভৎর্সনার মুখে পড়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশনকে তিরস্কার করে বলেন, “করোনা সংক্রমণের এই ভয়াবহ আকার ধারণ করার জন্য আপনারাই দায়ী।” নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হওয়া উচিত বলেও জানান তিনি।
আদালতের কাছে এভাবে ভৎর্সিত হওয়া নিয়ে সমস্ত সংবাদমাধ্যমেই নানা প্রতিবেদন প্রকাশিত ও সম্প্রচারিত হয়। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে কমিশন। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জমা দেওয়া আর্জিতে বলা হয়, “করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট যে পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিল, তা মিডিয়া রিপোর্টে তা আরও বাড়িয়ে-চড়িয়ে বলা হয়েছে। এই ধরনের রিপোর্ট জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করে। কারণ স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা হিসাবে নির্বাচন কমিশনের কাজই হল নির্বাচন পরিচালনা করা।”
একইসঙ্গে রাজ্যে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী কমিশনের বিরুদ্ধে যে খুনের অভিযোগ এনেছিলেন, তার ভিত্তিতেও সংবাদমাধ্যমগুলি যেভাবে সংবাদটিকে প্রচার করেছিল, তার ফলে উপ-নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
কমিশনের জমা দেওয়া পিটিশনে বলা হয়েছে, “লিখিত রের্কড ছাড়া আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার কেনও অংশ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে দেওয়া উচিত নয়।বিশেষত যখন বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করাই হবে। তামিলনাড়ুতে নির্বাচনী প্রচার ৪ এপ্রিলই শেষ হয়ে গিয়েছিল, এরপরও আদালতের এইধরনের পর্যবেক্ষণের কোনও প্রয়োজন ছিল না।”