NCP vs NCP: শরদের নয়, অজিতের এনসিপি-ই ‘আসল’ এনসিপি: নির্বাচন কমিশন
NCP 'Pawar' Tussle: একদিকে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী। অন্যদিকে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। কারা আসল এনসিপি, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল সংঘাত। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে এই দ্বন্দ্ব। ১০টিরও বেশি শুনানি হয়েছে এই নিয়ে। অবশেষে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকেই-কেই আসল এনসিপি বলে ঘোষণা করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
নয়া দিল্লি: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দুয়ারে জোর ধাক্কা খেলেন শরদ পাওয়ার। অজিত পাওয়ারের এনসিপি-ই হল আসল এনসিপি, জানিয়ে দিল কমিশন। এবার দল চালানোর জন্য সংগঠনের নতুন নাম খুঁজতে হবে বর্ষীয়ান রাজনীতিক শরদ পাওয়ারকে। দলে ভাঙন আসার পর থেকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল এনসিপি। একদিকে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী। অন্যদিকে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। কারা আসল এনসিপি, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল সংঘাত। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছে এই দ্বন্দ্ব। ১০টিরও বেশি শুনানি হয়েছে এই নিয়ে। অবশেষে অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকেই-কেই আসল এনসিপি বলে ঘোষণা করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে ‘এনসিপি’ নামের উপর আর অধিকার থাকল না শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর। হাতছাড়া হল এতদিনের ‘ঘড়ি’ প্রতীকও। এবার থেকে ‘ঘড়ি’ প্রতীকের পাকাপাকি মালিক হল অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী।
এদিকে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীকে সংগঠনের জন্য নতুন নাম বাছার জন্য বলা হয়েছে। সেই মতে কমিশনের কাছে দলের নতুন নামের জন্য তিনটি প্রস্তাবিত নাম জমা দিতে হবে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে জাতীয় নির্বাচনের এই ঘোষণার ফলে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী জোর ধাক্কা খেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুধু লোকসভা ভোটই নয়, সামনে রাজ্যসভা নির্বাচনও রয়েছে। সেখানে ছ’টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্যও সংগঠনের নতুন নাম ও প্রতীক খুঁজে নিতে হবে শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীকে। এদিকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত আসার পরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে শরদ গোষ্ঠীর দিক থেকে। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শরদ গোষ্ঠীর অন্যতম বড় মুখ অনিল দেশমুখ বলেছেন, ‘যা ঘটল, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই সিদ্ধান্তের ফলে গণতন্ত্রের হত্যা করা হল।’