NSE Scam: আড়ি পাততেন কর্মীদের ফোনে! আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার NSE-র প্রাক্তন প্রধান রবি নারাইন

NSE Scam: ১৯৯৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ অবধি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের চিফ এক্সেকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন রবি নারাইন।

NSE Scam: আড়ি পাততেন কর্মীদের ফোনে! আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার NSE-র প্রাক্তন প্রধান রবি নারাইন
প্রাক্তন এনএসই কর্তা রবি নারাইন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 6:09 AM

নয়া দিল্লি: এনএসই তদন্তে ইডির জালে ধরা পড়ল আরও এক। মঙ্গলবারই আর্থিক তছরুপ মামলায় ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবি নারাইনকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টটরেট। সংস্থার কর্মীদের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয় রবি নারাইনকে।

জানা গিয়েছে, রবি নারাইনের বিরুদ্ধে একসঙ্গে দুটি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ বা এনএসই কর্মীদের ফোন ট্যাপিংয়ের পাশাপাশি কো-লোকেশন দুর্নীতিতেও তাঁর কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডির তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার আর্থিক তছরুপ দমন আইনের অধীনেই কর্মীদের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সংস্থার প্রাক্তন সিইও ও এমডি রবি নারাইনকে।

১৯৯৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ অবধি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের চিফ এক্সেকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন রবি নারাইন। পরে তাঁকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নন-এক্সেকিউটিভ ক্যাটেগরিতে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ করা হয়। ২০১৭ সাল অবধি এই পদের দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। এরপরে ইস্তফা দেন।

উল্লেখ্য, এর আগে কো-লোকেশন দুর্নীতিতে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের আরেক প্রাক্তন এমডি ও সিইও চিত্রা রামাকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ইডির তরফে তাঁকে কর্মীদের ফোন ট্যাপিংয়ের অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলাতেই গত ১৯ জুলাই মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাণ্ডেকেও গ্রেফতার করা হয়।

তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল যে ১৯৯৭ সাল থেকে এনএসই-র কর্মীদের ফোনে আড়িপাতা হয়েছিল। পুলিশ কমিশনার পাণ্ডের অধীনে থাকা একটি সংস্থাই এই ট্যাপিংয়ের কাজ করেছিল। রেড সার্ভার নামক এক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হত ফোন ট্যাপিংয়ের জন্য। চিত্রা রামাকৃষ্ণ ও রবি নারাইন- উভয়ই সংস্থার কর্মীদের ফোন ট্যাপ করতেন।

চিত্রার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল অবধি সংস্থার সিইও থাকাকালীন তিনি হিমালয়ের এক সাধুর নির্দেশ মতোই সংস্থায় যাবতীয় নিয়োগ করতেন। আর্থিক তছরুপ, এমনকি সংস্থার গোপন তথ্যও ফাঁস করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরে সিবিআই তদন্তে জানা যায়, চিত্রার সেই ‘সাধু শিরোমণি’ আর কেউ নন, বরং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জেরই প্রাক্তন মুখ্য কার্যনিবাহী আনন্দ সুব্রহ্মণ্যম। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই তাঁকেও চেন্নাই থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই।