Madhya Pradesh: বিশাল বাংলোয় সুইমিং পুল, হোম থিয়েটার, জাকুজ়ি! আয়ের ৬৫০ গুণ বেশি সম্পদ করেছেন পরিবহণ আধিকারিক
Madhya Pradesh: মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে এক পরিবহণ কর্তার আয়ের ৬৫০ গুণ সম্পদের খোঁজ পেল অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা।
ভোপাল: স্বামী আঞ্চলিক পরিবহন অফিসের (RTO) একজন আধিকারিক। স্ত্রী ওই অফিসেরই একজন কেরানি। অথচ তাদের সম্পত্তি দেখলে তা বোঝার উপায় নেই। চোখ কপালে উঠে গিয়েছে অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার (EOW) তদন্তকারীদের। বৃহস্পতিবার (১৮ অগস্ট), মধ্যপ্রদেশের জবলপুর শহরে আঞ্চলিক পরিবহন অফিসের ওই আধিকারিক এবং তাঁর স্ত্রীর তিনটি মালিকানাধীন তিনটি চত্বরে অভিযান চালিয়েছেন অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই দম্পতির বাড়িগুলিতে এমন সকল সুবিধা রয়েছে, যা সাধারণত কোনও পাঁচ তারা হোটেলে দেখা যায়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র সিং রাজপুত জানিয়েছেন, ওই দম্পতির যা আয়ের জ্ঞাত উৎস রয়েছে, তার চেয়ে অন্তত ৬৫০ গুণ বেশি সম্পদের খোঁজ পেয়েছেন তারা। তিনি জানিয়েছেন আঞ্চলিক পরিবহণ অফিসের ওই আধিকারিকের নাম সন্তোষ পাল। তাঁর স্ত্রী লেখা পাল আরটিও অফিসে কেরানি হিসাবে কাজ করেন। সম্প্রতি, অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার কাছে অভিযোগ এসেছিল, ওই দম্পতির আয়ের উৎসের তুলনায়, অসম পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাত থেকেই অভিযান শুরু করা হয়েছিল। অভিযানে অংশ নেন অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার ৩০ জন কর্মী। চলে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত।
The palatial house includes a swimming pool, mini bar and a separate office for Santosh. Wife Rekha Pal is a clerk at same Jabalpur RTO Office, where Satosh is the ARTO. Ongoing search has also led to Rs 15 lakh cash. @NewIndianXpress @TheMornStandard @santwana99 pic.twitter.com/iqKzLthILV
— Anuraag Singh (@anuraag_niebpl) August 18, 2022
দেবেন্দ্র সিং রাজপুত আরও জানিয়েছেন, ওই দম্পতির মালিকানাধীন তাঁদের তিনটি চত্বরে তল্লাশি চালিয়ে অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার কর্তারা মোট ১৬ লক্ষ টাকার নগদ, ৬০০ গ্রাম ওজনের সোনার গয়না এবং আরও বেশ কিছু সম্পত্তির নথি পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই দম্পতির একটি ১০,০০০ বর্গফুটের বিশাল বাংলোও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই বাংলোটিতে একটি সুইমিং পুল রয়েছে। রয়েছে, জাকুজ়ি, মিনি বার, একটি হোম থিয়েটার এবং সন্তোষ পালের একটি পৃথক কার্যালয়ও। তদন্ত অনুসারে, ওই দম্পতির মোট পাঁচটি বাড়ির সন্ধান মিলেছে। এছাড়া, তাঁদের আরও একটি খামারবাড়িও রয়েছে। পাশপাশি একটি ছোট গাড়ি, একটি এসইউভি গাড়ি এবং দুটি মোটরবাইক রয়েছে।
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়ার পরই, সন্তোষ পাল এবং তাঁর স্ত্রী লেখা পালের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের ওই সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই দম্পতি তাদের জ্ঞাত আয়ের উত্সের থেকে ঠিক কতটা অসম পরিমাণ সম্পদ সংগ্রহ করেছে, তা মূল্যায়ন করতে বাজেয়াপ্ত করা সকল দ্রব্য ও নথিপত্র ঘেঁটে দেখছেন তদন্তকারীরা।