আর্থিক তছরুপ মামলায় ফারুক আবদুল্লার ১২ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

এর আগে সিবিআই (CBI)-ও ২০১৮ সালে ফারুক আবদুল্লা সহ চারজনের বিরুদ্ধে ৪৩.৬৯ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করে।

আর্থিক তছরুপ মামলায় ফারুক আবদুল্লার ১২ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 19, 2020 | 9:22 PM

শ্রীনগর: আর্থিক তছরুপ মামলায় কাশ্মীরী নেতা তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা (Farooq Abdullah)-র প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি প্রায় ৪৫ কোটি টাকারও বেশি অর্থ তছরুপ করেছেন।

জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (Jammu and Kashmir Cricket Association) আর্থিক তছরুপ মামলার তদন্ত করছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ফারুক আবদুল্লা নিজের পদের অপব্যবহার করে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের টাকা নয়ছয় করেছেন। প্রায় ৪৫ কোটি টাকারও বেশি অর্থ পাচারের সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত। এর প্রেক্ষিতেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, চারটি জমি, তিনটি বাসভবন ও একটি বাণিজ্যিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সম্পত্তির মূল্য ১১.৮৬ কোটি টাকা হলেও বর্তমানে বাজারদর প্রায় ৬০-৭০ কোটি টাকার কাছাকাছি।

এর আগে সিবিআই (CBI)-ও ২০১৮ সালে ফারুক আবদুল্লা সহ চারজনের বিরুদ্ধে ৪৩.৬৯ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করে।

আরও পড়ুন: ‘কোনও রাজনৈতিক চাপ নেই’, সোনিয়ার চিঠি ঘিরে জল্পনা দূর করলেন শিবসেনা নেতা

যদিও ফারুক আবদুল্লার ছেলে ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) শনিবার টুইট করে বলেন,”বাজেয়াপ্ত অধিকাংশ সম্পত্তিই ১৯৭০ সালের, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। সর্বশেষ বাড়িটিও ২০০৩ সালে তৈরি হয়েছে। সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কোনও যৌতিকতাই নেই কারণ তদন্তের প্রাথমিক স্তরেই তারা ব্যর্থ।”

পরবর্তী টুইটে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং এই ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালাবোই। মিডিয়া আদালত বা বিজেপি পরিচালিত সোশ্যাল মিডিয়ার আদালতের মতো নয়, এমন আদালতে যেখানে সকলেই নায্য বিচার পান।”

এর আগে ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র বলেছিলেন,”গুপকর ডিক্লেরেশনের (People’s Alliance for Gupkar Declaration) পরই ইডির তরফ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, কাশ্মীরে পিপলস অ্যালায়েন্স গঠনের পরই রাজনৈতিক চক্রান্ত করেই এই তদন্ত করা হচ্ছে। বিজেপির আদর্শের বিরোধিতা করলেই এই মূল্য চোকাতে হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: আইপিএস তলবকাণ্ডে সমর্থন মুখ্যমন্ত্রীকেই, পাশে দাঁড়ালেন স্ট্যালিন-বাঘেলও