Ahmedabad: শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছেলের দেহাংশ! ‘খুনি’ বাবার কীর্তি ফাঁস করল ক্রাইম ব্রাঞ্চ
Murder Case: পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণ দশম শ্রেণি অবধি পড়াশুনো করার পর স্কুল ছেড়ে দিয়েছিলেন। ওই তরুণ মদ ও মাদকের নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং সেই নিয়ে পরিবারে নিয়মিত অশান্তি লেগেই থাকত।
আহমেদাবাদ: মারাত্মক হত্যা রহস্য সমাধান করল আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Ahmedabad Crime Branch)। ঘটনার বিবরণ শুনলে যে কেউ আঁতকে উঠতে পারেন। নিজের ছেলেকে হত্যা করে (Murder Case) তাঁর কাটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শহরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে শনিবার নীলেশ জোশী নামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত ব্যক্তি অম্ববাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তাঁর ২১ বছর বয়সী ছেলে স্বয়মকে হত্যা করা পর পলিথিন ব্যাগে করে কাটা অঙ্গ শহরের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি। ছেলেকে হত্যা করার পর কালুপুর স্বামীনারায়ণ মন্দিরে গিয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য ভগবানের কাছে ক্ষমাও চেয়ে এসেছিল ওই ব্যক্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণ দশম শ্রেণি অবধি পড়াশুনো করার পর স্কুল ছেড়ে দিয়েছিলেন। ওই তরুণ মদ ও মাদকের নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং সেই নিয়ে পরিবারে নিয়মিত অশান্তি লেগেই থাকত। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাবার কাছে টাকা চেয়ে না পেলে তাঁকে হত্যা করার হুমকি দিত মৃত তরুণ। ১৮ জুলাই সকালে মদ ও মাদকের জন্য বাবার কাছে টাকা দাবি করেছিলেন স্বয়ম। নীলেশ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারধর করতে শুরু করেছিল। বাধ্য হয়ে পাল্টা ছেলে আক্রমণ করেছিল নীলেশ। স্বয়ম ছিটকে মাটিকে পড়ে যেতেই রান্নাঘর থেকে হামান দিস্তা এনে একাধিকবার আঘাত করে ছেলের মাথা থেঁতলে দিয়েছিল নীলেশ।
হত্যা করার পর বাজার থেকে গ্রাইন্ডিং মেশিন কিনে এনে ছেলের দেহ কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছিল নীলেশ। কালো পলিথিনের ব্যাগে করে তারপর শহরের বিভিন্ন অংশে দেহ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আহমেদাবাদের বিভিন্ন অংশে কাটা দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্রে ধরে ঘটনার পর্দাফাঁস করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশ জানিয়েছেন, নীলেশের স্ত্রী বিগত ৫ বছর ধরে জার্মানিতে থাকেন এবং তাঁর মেয়ে চিকিৎসক।