Flood: হাত-পা ছুড়ছিলেন ক্রমাগত, জলের স্রোত সামলাতে না পেরেই ভেসে গেলেন ২ পুলিশকর্মী

Flood: বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র নদী। ইতিমধ্যেই নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে। কাজিরাঙা অভয়ারণ্যেও জল ঢুকে গিয়েছে।

Flood: হাত-পা ছুড়ছিলেন ক্রমাগত, জলের স্রোত সামলাতে না পেরেই ভেসে গেলেন ২ পুলিশকর্মী
বন্যায় ডুবছে জলপাইগুড়ি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 20, 2022 | 12:15 PM

গুয়াহাটি: এমনিতেই বন্যা, তার উপরে থামছে না বৃষ্টি। বিগত দুই দিন একটানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে অসম ও মেঘালয়ে। শনি ও রবিবারের টানা বৃষ্টিতে অসমের কমপক্ষে ৩৩ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছেন অন্তত ৪২ লক্ষ মানুষ। অন্যদিকে মেঘালয়েও একই অবস্থা। বন্যা ত্রাণ,উদ্ধারকাজ ও ক্ষতিপূরণের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেতে ৩০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে মেঘালয় সরকার। অসমে রবিবার রাতেই দুই পুলিশকর্মী জলের তোড়ে ভেসে যান। একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও, অপরজন নিখোঁজ।

অসম ও মেঘালয়-দুই রাজ্য মিলিয়ে বন্যা ও ধসের জেরে কমপক্ষে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিগত ৫ দিনেই রাজ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ৭৪৪টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ১লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

সপ্তাহের শেষেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র নদী। ইতিমধ্যেই নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে। কাজিরাঙা অভয়ারণ্যেও জল ঢুকে গিয়েছে। অভয়ারণ্যের প্রায় ১৫ শতাংশ জলে ডুবে গিয়েছে। চিতাবাঘ সহ বেশ কয়েকটি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আজই জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ভিডিয়ো কনফারেন্সে তিনি রাজ্যে ডেপুটি কমিশনার ও সিভিল সাব ডিভিশনাল অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

রবিবার রাতে অসমের নাগাঁও জেলায় দুই পুলিশকর্মী বন্যার জলে ভেসে যান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কামপুর পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি দল তদন্তে বেরিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই বন্যার জলের তোড়ে ওই অফিসার ইনচার্জ ও এক কন্সটেবল ভেসে যান। পরে রাজীব বোরদলোই নামক ওই কন্সটেবলের দেহ উদ্ধার করা হলেও, সমুজ্জ্বল কাকাটি নামক ওই অফিসারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর খোঁজে রাজ্য় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ, দমকল ও পুলিশ বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

অন্য়দিকে, গতকালই বন্যা দুর্গত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন মেঘালয়ের মুখ্য়মন্ত্রী কনরাড কে সাংমা। তিনি জানান, জাইনতিয়া পাহাড় থেকে অসম, মিজোরাম ও ত্রিপুরার সংযোগকারী রাস্তা, ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। বিকল্প রাস্তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বৃষ্টি না থামলে, রাস্তা সংস্কার সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে। ত্রিপুরাতেও হড়পা বান নেমেছে। কমপক্ষে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী দুই দিনও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই রাজ্যেই জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।