AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mahua Moitra: ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার থেকে সাংসদ, অর্থনীতির স্নাতক মারপ্যাঁচ জানেন রাজনীতিরও

Mahua Moitra Biography: ২০০৯ সালে আচমকাই জেপি মর্গানের মোটা টাকার চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন মহুয়া মৈত্র। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ফ্লাইট ধরে ফিরে আসেন দেশে। যোগ দেন কংগ্রেসে। জাতীয় কংগ্রেসের যুব শাখায় কাজ করেন। কংগ্রেসের 'আম আদমি কি সিপাহি' প্রকল্পের রাহুল গান্ধীর ভরসাযোগ্য় সঙ্গী ছিলেন মহুয়া।

Mahua Moitra: ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার থেকে সাংসদ, অর্থনীতির স্নাতক মারপ্যাঁচ জানেন রাজনীতিরও
অসমের মেয়ে তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী হলেন কীভাবে?Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2023 | 5:41 PM
Share

নয়া দিল্লি: জন্ম অসমে, পড়াশোনা বিদেশে। সংসদে তাঁর চাঁচাছোলা প্রশ্নের সামনে ঢোঁক গিলতে হয়েছে অনেক সাংসদকেই। সেই মহুয়া মৈত্রই (Mahua Moitra) খোয়ালেন সাংসদ পদ। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার (Cash For Query) অভিযোগে এথিক্স কমিটির (Ethics Committee) সুপারিশে লোকসভা থেকে আজ, ৮ ডিসেম্বর বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে। সাংসদ পদ খোয়ানোর পরও দমে যাননি তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী। হুংকার দিয়েছেন, ‘বিজেপির শেষের শুরু হল এখান থেকেই’। একইসঙ্গে জোর গলায় বলেছেন, ফের সংসদে ফিরে আসবেন তিনি। কীভাবে অঙ্ক ও অর্থনীতিতে স্নাতক জাতীয় স্তরে তৃণমূলের অন্যতম ‘মুখ’ হয়ে উঠলেন?

 জন্ম ও বেড়ে ওঠা-

১৯৭৪ সালের ১২ অক্টোবর অসমের কাচার জেলার লাবাকে বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম মহুয়া মৈত্রর। তবে তাঁর পড়াশোনা কলকাতাতেই। গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন তিনি। এরপরে ১৯৯৮ সালে তিনি ইংল্যান্ডের ম্যাসাচুসেটের মাউন্ট হোলিইয়ক কলেজ সাউথ হেডলি থেকে অঙ্ক ও অর্থনীতিতে স্নাতক হন।

কর্মজীবন-

মহুয়া মৈত্রের কর্মজীবনের শুরু বিখ্যাত জেপি মর্গান চেস সংস্থা থেকে। লন্ডন ও নিউইয়র্কে জেপি মর্গানের অধীনে ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার হিসাবে কাজ শুরু করেন। ধীরে ধীরে জেপি মর্গানের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হন।

রাজনীতিতে প্রবেশ-

২০০৯ সালে আচমকাই জেপি মর্গানের মোটা টাকার চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেন মহুয়া মৈত্র। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ফ্লাইট ধরে ফিরে আসেন দেশে। যোগ দেন কংগ্রেসে। জাতীয় কংগ্রেসের যুব শাখায় কাজ করেন। কংগ্রেসের ‘আম আদমি কি সিপাহি’ প্রকল্পের রাহুল গান্ধীর ভরসাযোগ্য় সঙ্গী ছিলেন মহুয়া। ২০১০ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়ার করিমপুর আসন থেকে নির্বাচিত হন। তিন বছর পর, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ হন মহুয়া। কৃষ্ণনগরের সাংগঠনিক জেলা সভাপতিও তিনি। ২০২১ সালে মহুয়াকে গোয়ার ইনচার্জও করা হয় দলের তরফে।

ঝাঁঝালো নেত্রী-

চোখা চোখা প্রশ্ন, ঝাঁঝালো আক্রমণ- রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে মহুয়া মৈত্রের পরিচিতি গড়ে ওঠে এভাবেই। পেগাসাস থেকে শুরু করে আদানি ইস্যু-বিজেপিকে আক্রমণ করার কোনও সুযোগই ছাড়েননি তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ। আর এই আক্রমণাত্বক ভঙ্গির জন্যই একাধিক বিতর্কেও জড়িয়েছেন মহুয়া মৈত্র।

বিতর্ক-

কখনও দু-পয়সার সাংবাদিক বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন, কখনও আবার দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। গত বছরই মা কালীকে নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেও চরম বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মহুয়া। সেই সময় দলও তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার বিতর্ক শুরু হওয়ার পরও তৃণমূলকে সেভাবে মহুয়ার পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়- সকলেই বলেছেন, এটা মহুয়ার লড়াই। নিজের লড়াই লড়তে পারেন তিনি।

আজ সংসদে এথিক্স কমিটির বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরাও দাবি করেন, মহুয়া মৈত্রকে অন্তত একবার স্বপক্ষে বলার সুযোগ দেওয়া হোক, কিন্তু সেই দাবিকে মান্যতা দেননি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শেষ অবধি কমিটির সুপারিশ মেনে ও ধ্বনি ভোটে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়া মৈত্রকে।