Gorakhnath temple attack: যোগীর মন্দিরে হামলার জের, আইআইটি স্নাতককে মৃত্যুদণ্ড দিল এনআইএ আদালতের
Gorakhnath temple attack: উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে গোরখনাথ মন্দিরে হামলা চালানোর দায়ে, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আইআইটির স্নাতক আহমেদ মোর্তাজা আব্বাসিকে মৃত্যুদণ্ড দিল এক বিশেষ এনআইএ আদালত।
লখনউ: উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে গোরক্ষনাথ মন্দিরে হামলা চালানোর দায়ে, সোমবার (৩০ জানুয়ারি) আইআইটির স্নাতক আহমেদ মোর্তাজা আব্বাসিকে মৃত্যুদণ্ড দিল এক বিশেষ এনআইএ আদালত। ২০২২ সালের ৩ এপ্রিল জোর করে গোরখপুর মন্দির চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল আহমেদ। একটি দা নিয়ে সে মন্দিরের নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা চালিয়েছিল। দুই পুলিশ কনস্টেবল জখম হয়েছিলেন। অবিলম্বে অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলেছিলেন। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোরখনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও, মাঝে মাঝেই তিনি এই মন্দিরে এসে বসবাস করেন।
উত্তর প্রদেশ পুলিশের এডিজি (আইন এবং শৃঙ্খলা), প্রশন কুমার জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ধারা অনুযায়ী আহমেদ মোর্তাজা আব্বাসিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই ধারায় ভারত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বা যুদ্ধের চেষ্টা করা বা যুদ্ধের উসকানি দেওয়ার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ধারা ছাড়া পুলিশকর্মীদের উপর হামলা চালানোর দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে জেরা করে জানা গিয়েছিল, তার সঙ্গে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে। এডিজি প্রশন কুমার জানিয়েছেন, মোর্তাজা আব্বাসি আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর হয়ে লড়াই করার অঙ্গীকার করেছিল। এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যদের অর্থিক সহায়তাও করত আইআইটির এই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
২০১৫ সালে আইআইটি-মুম্বই থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিল আহমেদ মোর্তাজা আব্বাসি। তারপর দুটি প্রথম সারির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেছিল সে। গোরখপুরের সিভিল লাইন্স এলাকারই বাসিন্দা সে। তার পরিবারের দাবি, মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছিল সে। ২০১৭ সাল থেকেই মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় জর্জরিত ছিল। যার জেরে স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় এবং তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছিল সে। তবে, বিশেষ লাভ হয়নি। এনআইএ আদালত অবশ্য আহমেদ মোর্তাজা আব্বাসির মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার যুক্তি মানেনি।