AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

চাইলেই গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র! সোশ্যাল মিডিয়ার পরিষেবাদাতাদের জন্য আসছে নয়া নির্দেশিকা

ফেসবুক (Facebook), টুইটার (Twitter) ও বাকি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম(OTT Platforms)-গুলিতে যাতে সমৃদ্ধ বিষয় বা অনুষ্ঠান প্রকাশ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে আইনে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

চাইলেই গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্র! সোশ্যাল মিডিয়ার পরিষেবাদাতাদের জন্য আসছে নয়া নির্দেশিকা
প্রতীকী চিত্র।
| Updated on: Feb 24, 2021 | 1:05 PM
Share

নয়া দিল্লি: সাম্প্রতিক নানা বিতর্ককে মাথায় রেখেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন নিয়মাবলি আনতে চলছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে, ইন্টারনেট প্রদানকারী, মধ্যস্থতাকারী ও স্টেকহোল্ডারদের জন্য নতুন নিয়মবালি প্রকাশের আগেই তাঁদের অভিযোগ, নিয়মে পরিবর্তন আনার আগে তাঁদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা করা হয়নি।

গত সপ্তাহেই তথ্য প্রযুক্তি দফতরের ( Ministry of Electronics and Information Technology) তরফে নতুন নিয়মাবলি জারি করার কথা থাকলেও মধ্যস্থতাকারীরা সংশয় প্রকাশ করায় চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবারের মধ্যে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হবে বলেই সূত্রের খবর।

সংশয় কোথায়?

ফেসবুক (Facebook), টুইটার (Twitter) ও বাকি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম(OTT Platforms)-গুলিতে যাতে সমৃদ্ধ বিষয় বা অনুষ্ঠান প্রকাশ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে আইনে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নয়া নির্দেশিকায় গ্রাহকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময়সীমা ৭২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৩৬ ঘণ্টা করা হয়েছে। একইসঙ্গে যোগ করা হয়েছে “ট্রেসেবিলিটি”(Traceability)-র নিয়ম। মূলত এই দুটি বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী ও স্টেকহোল্ডাররা।

আরও পড়ুন: ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে কাল দিল্লিতে বৈঠকে কমিশন

প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে “এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন”-র মাধ্যমে তথ্যের সুরক্ষা বজায় রাখা হত। কিন্তু  সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বিতর্ক তৈরি হওয়ায় ত্রী-স্তরীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা আনতে চলেছে কেন্দ্র। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, প্রয়োজন অনুসারে কোনও মেসেজ বা পোস্টের সূত্র ধরে আপলোডাকে চিহ্নিতকরণ সম্ভব হবে, আর এতেই গ্রাহকের তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি।

অন্যদিকে, গ্রাহকদের জবাব দেওয়ার সময় ৩৬ ঘণ্টা করে দেওয়াকেও “অতিরিক্ত” বলে মনে করছেন স্টেকহোল্ডাররা। তাঁদের দাবি, সংস্থাগুলির তরফে ইতিমধ্যেই অনুচিত বা অনুপযুক্ত কনটেন্ট যাতে প্রকাশিত না হয়, বা তা দ্রুত চিহ্নিতকরণ করা সম্ভব হয়, তার জন্য একটি নির্দিষ্ট দল নিয়োগ করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমা দেওয়া অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই সময়সীমা আরও কমিয়ে দেওয়ায় পরিষেবা প্রদানকারীরা আরও সমস্যায় পড়বেন।

পরিষেবা প্রদানকারীদের অভিযোগের মাঝেই চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রের তরফে এই নয়া নির্দেশিকা জারি করা হবে বলেই সূত্রের খবর। নিয়ম বা আইন পরিবর্তনের বিরোধিতা না করলেও পরিষেবা প্রদানকারীদের দাবি, এক্ষেত্রে কোনও শাস্তি যাতে যোগ না করা হয়। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তথা সাইবার সিকিউরিটি আইন বিশেষজ্ঞ পবন দুগ্গাল বলেন, “নিয়মে পরিবর্তন আসবে, এই বিষয়টি সকলেরই জানা ছিল। পরিষেবা প্রদানকারীরা কঠোর ভূমিকা পালন করার বদলে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিলেন। সকলেই ভারতীয় বাজারের সুবিধা নিতে চাইলেও নিয়মবিধি নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইতেন না।”

আরও পড়ুন: অস্ত্র অনুশীলনের সময় গুলি লেগে মৃত্যু বাঙালি জওয়ানের