J&K Terrorist Attack: কাশ্মীরি পণ্ডিতের খুনেই থামবে না মৃত্যুমিছিল, বড় হামলার শঙ্কায় সতর্ক করল কেন্দ্র

J&K Terrorist Attack: হামলার পরই 'কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস' নামক একটি জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করে নেয়। হামলা ও হত্যার কারণ হিসাবে তাদের তরফে জানানো হয়, ওই দুই কাশ্মীরি পণ্ডিত ভাই সাধারণ মানুষকে তিরঙ্গা র‌্যালিতে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছিল।

J&K Terrorist Attack: কাশ্মীরি পণ্ডিতের খুনেই থামবে না মৃত্যুমিছিল, বড় হামলার শঙ্কায় সতর্ক করল কেন্দ্র
জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু সেনাবাহিনীর।ছবি:ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 9:35 AM

শ্রীনগর: স্বাধীনতা দিবসেও রক্ত ঝরেছে উপত্যকায়। ফের একবার জঙ্গিদের নিশানা হয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। গত ১৫ অগস্ট পরপর গ্রেনেড হামলা ও এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যার ঘটনা ঘিরেই থমথমে উপত্যকা। এরইমধ্যে কেন্দ্রের তরফে সম্ভাব্য হামলা নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জম্মু ও কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও তিরঙ্গা র‌্যালি হওয়া নিয়েই চটেছে উপত্যকার লুকিয়ে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলি। তারা সংখ্যালঘু ও পরিযায়ীদের নিশানা বানানোর পরিকল্পনা করছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।

মঙ্গলবারই কাশ্মীরের সোপিয়ানে একটি আপেল বাগানে হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুলি করে হত্যা করা হয় এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে। গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর ভাই। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আল বাদর নামক একটি জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্য়ই হামলা চালিয়েছিল দুই ভাইয়ের উপরে। এক শীর্ষ কর্তা জানান, আদিল ওয়ানি নামক এক প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ মিলেছে। ওই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে কারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের খোঁজে বিশাল তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।

নিহত সুনীল কুমারের পরিবার বিগত কয়েক দশক ধরেই কাশ্মীরের বাসিন্দা। ১৯৯০-র দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে হামলার সময়ও তারা উপত্যকা ছেড়ে যাননি। সম্প্রতি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপরে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটতেই কেন্দ্র ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে উপত্যকায় বসবাসকারী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সুনীল কুমারের বাড়ির বাইরেও একজন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার দুই ভাই আপেল বাগানে কাজ করতে গেলে, তাদের উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। একে-৪৭ রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে।

হামলার পরই ‘কাশ্মীর ফ্রিডম ফাইটারস’ নামক একটি জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করে নেয়। হামলা ও হত্যার কারণ হিসাবে তাদের তরফে জানানো হয়, ওই দুই কাশ্মীরি পণ্ডিত ভাই সাধারণ মানুষকে তিরঙ্গা র‌্যালিতে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছিল।

সূত্রের খবর, আগামী দিনগুলিকে উপত্যকায় এই ধরনের আরও হামলা হওয়ার আশঙ্কা করছে কেন্দ্র। গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত পার করে প্রচুর সংখ্যক ছোট অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আনা হয়েছে উপত্যকায়। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই উপত্যকায় সাধারণ মানুষদের নিশানা বানিয়ে হামলা ও গ্রেনেড হামলার ঘটনা আরও বাড়তে পারে। এই হামলা যে কেউ চালাতে পারে। হামলাকারীর কোনও প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন নেই।