বিরোধীদের জন্য জনগণের ১৩৩ কোটি টাকা জলে, দাবি কেন্দ্রের
Deadlock in Parliament: সরকারি সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে সরকারের তরফে। লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে কাজ হয়েছে মাত্র ১৮ ঘণ্টা।
নয়া দিল্লি: বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই এ বার উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা ও রাজ্যসভা। পেগাসাস, কৃষি বিল সহ একাধিক বিষয়ে নিয়ে প্রথম থেকেই সরব হন বিরোধীরা। আর তাতেই বিপুল টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেল সরকারি সূত্রে। বিরোধীদের বিক্ষোভে যে ভাবে অধিবেশন আটকে গিয়েছে, তাতে অন্তত ১৩৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। কিন্তু বিক্ষোভের জেরে বারবার ব্যাঘাত ঘটেছে সেই অধিবেশনে।
শনিবার সরকারের তরফ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ‘সরকারি সূত্র’-এর কথা উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, লোকসভায় এ বার ৫৪ ঘণ্টা কার্যক্রম হতে পারত, কিন্তু তা হয়েছে মাত্র ৭ ঘণ্টার, আর রাজ্যসভায় কাজ হয়েছে ১১ ঘণ্টা, যা হতে পারত ৫৩ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে ১০৭ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ১৮ ঘণ্টা কাজ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। এতে সাধারণ মানুষের করের ১৩৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
কয়েক দিন আগেই লোকসভার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির আভ্যন্তরীণ বৈঠকে তিনি বলেছেন, কংগ্রেস উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। অন্যদিকে, বিরোধীদের দাবি, বিজেপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তারাই সংসদের কার্যক্রম পণ্ড করার কৌশল নিত।
গত বুধবার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার চেয়ার লক্ষ্য করে কাগজ ছোড়েন বেশ কয়েকজন বিরোধী সাংসদ। পরের দিন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধীদের কড়া বার্তা দেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। সাংসদদের সেই আচরণকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। মনে করিয়ে দিলেন সাংসদরা কয়েক লক্ষ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাই কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মেটানো উচিৎ বলেই উল্লেখ করলেন এ দিন। প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিতও দেন ওম বিড়লা। আরও পড়ুন: এনকাউন্টারে শেষ মাসুদ আজহারের আত্মীয় ‘লম্বু’, পুলওয়ামা হামলার ‘মাথা’কে নিকেশ করে বড় সাফল্য বাহিনীর