পেট্রোপণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির জেরে ৮৮ শতাংশ আয় বেড়েছে কেন্দ্রের, রোজগার প্রায় ৩.৩৫ লক্ষ কোটি

Petrol Diesel Price: টাকার অঙ্কে আদায়ের পরিমাণ চোখ কপালে তোলার মতো। প্রায় ৩.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা।

পেট্রোপণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির জেরে ৮৮ শতাংশ আয় বেড়েছে কেন্দ্রের, রোজগার প্রায় ৩.৩৫ লক্ষ কোটি
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 6:31 PM

নয়া দিল্লি: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের সুর যতই চড়ুক না কেন, কেন্দ্র দাম কমাতে রাজি নয়। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তরই কিছুটা হলেও পাওয়া গেল বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন। দাম বাড়ার দরুন সরকারের আমদানি ঠিক কতটা বেড়েছে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সেই তথ্য সোমবার লোকসভায় প্রকাশ্যে আনা হল। কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৮৮ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আদায় হয়েছে। টাকার অঙ্কে আদায়ের পরিমাণ চোখ কপালে তোলার মতো। প্রায় ৩.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা।

পেট্রোপণ্যের উপর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে অন্তর্শুল্ক আদায় করা হয়, তার পরিমাণ বৃদ্ধির কারণেই পেট্রল-ডিজেলের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিমারির সময়ে ধাপে ধাপে দুই জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়া সত্ত্বেও ভারতে এর দাম কমেনি। কারণ পাল্লা দিয়ে অন্তর্শুল্ক বৃদ্ধি করেছিল কেন্দ্র। পেট্রলের উপর ১৯.৯৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে অন্তর্শুল্কের পরিমাণ ৩২.৯ টাকা করা হয়। এরপর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও বাড়তে শুরু করে। কিন্তু শুল্ক কমায়নি কেন্দ্র। যে কারণে শুধু পেট্রোপণ্য থেকে আমদানির ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় সরকারের রাজকোষ ফুলেফেঁপে উঠেছে। পেট্রলের মতোই ডিজেলের ক্ষেত্রেও অন্তর্শুল্কের পরিমাণ ১৫.৮৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩১.৮ টাকা করা হয়। যার উপর পরবর্তী সময়ে কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি।

কেন্দ্রের একরোখা মনোভাবের জেরে সাধারণ মানুষের পকেটে কোপ পড়েছে ঠিকই। কিন্তু সরকারের রাজস্ব আদায়ে কোনও ঘাটতি হচ্ছে না। সূত্রের খবর, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি এ দিন লোকসভায় একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সদ্য সমাপ্ত অর্থবর্ষে অন্তর্শুল্ক থেকে ৩.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা এর আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ৮৮ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে এই শুল্ক বাবদ ১.৭৮ লক্ষ কোটি টাকা আদায় হয়েছিল কেন্দ্রের। এর আগের অর্থবর্ষে, অর্থাৎ ২০১৮-১৯ সালে এই শুল্ক বাবদ ২.১৩ লক্ষ কোটি টাকা আয় হয়েছিল কেন্দ্রের। কিন্তু লকডাউনের জেরে এর পরের অর্থবর্ষে আয় কমে যায়। আরও পড়ুন: ‘এমন কাজ করবেন না যাতে কাশ্মীরে ডিউটি করতে হয়,’ জেলার এসপি-কে হুমকি শুভেন্দুর