Gujarat Student Bribe: ফিজিক্স, কেমিস্ট্রির খাতায় স্টেপল করা কড়কড়ে ৫০০-র নোট! দেখতে পেয়েই যা হল ছাত্রের সঙ্গে…
Gujarat Student Bribe: জানা গিয়েছে, মধ্যবিত্ত পরিবারের ওই পড়ুয়া পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলেও, প্রশ্নপত্র কঠিন হতে পারে ভেবে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পরীক্ষককে।
আহমেদাবাদ: সারাবছর পড়াশোনা করলেও, প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়ার ভয় ছিল মনে। যদি কঠিন প্রশ্ন আসে, তবে লিখবে কী? কিন্তু পরীক্ষায় যে পাশ করতেই হবে! অগ্যতা পরীক্ষককে ঘুষ দিতে তাই সাদা খাতার মধ্যেই ৫০০ টাকার নোট স্টেপল করে দিয়েছিল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু এই ঘুষ দেওয়ার চেষ্টাই যে তাঁর কাছে আরও বড় বিপদ হয়ে উঠবে, তা ভাবতেও পারেনি ওই পড়ুয়া। শুধু এই বছরের পরীক্ষায় ফেল নয়, পরের বছরও পরীক্ষায় বসা বারণ হয়ে গেল ওই পড়ুয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের আহমেদাবাদে। শিক্ষককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার অপরাধে বর্তমান পরীক্ষায় ফেল করানোর পাশাপাশি আগামী এক বছর বোর্ড পরীক্ষাতেও বসতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে।
মধ্য গুজরাটের ওই পড়ুয়ার কাণ্ডে অবাক গুজরাট উচ্চ শিক্ষা পর্ষদও। বোর্ডের কর্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে আকছার এই ঘটনা ঘটলেও, স্কুলে এই ঘটনার খুব একটা শোনেননি তারা। সম্প্রতিই দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার খাতা চেক করতে গিয়ে শিক্ষকরা দেখতে পান ওই পডুয়ার রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা পরীক্ষার খাতায় ৫০০ টাকার নোট স্টেপল করে লাগানো রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুল ও গুজরাট সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ডে জানানো হয় ঘটনাটি। এরপরই এক্সামিনেশন রিফর্মস কমিটির তরফে ওই পড়ুয়াকে ডেকে পাঠানো হয়।
প্রশ্নের মুখে পড়ে ওই পডুয়া স্বীকার করে নেয় যে, শিক্ষকদের ঘুষ দিয়ে পাশ করতেই সে খাতায় ৫০০ টাকার নোট স্টেপল করে জমা দিয়েছিল। সে বন্ধুদের কাছ থেকেই শুনেছিল যে উত্তরপত্রের ভিতরে টাকা দিলে, কিছু উত্তর না লিখেও পাশ করা যায়। সেই কথা শুনেই সে টাকা স্টেপল করে দিয়েছিল। কিন্তু এটা যে ঘুষ হিসাবে গণ্য করা হবে, তা বুঝতে পারেনি। ওই পড়ুয়াকে শিক্ষা দিতেই এবারের পরীক্ষায় তাঁকে অনুত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী এক বছর সে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় বসতে পারবে না বলেও জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মধ্যবিত্ত পরিবারের ওই পড়ুয়া পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিলেও, প্রশ্নপত্র কঠিন হতে পারে ভেবে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পরীক্ষককে। এদিকে, তাঁর অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, ছেলের ভাল ফলের জন্য তারা স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারেও ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু জীবনের অন্যতম বড় পরীক্ষাতেই ছেলে এই কাণ্ড ঘটাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা।
বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র যেটুকু উত্তর লিখেছিল, তাতে ২৭ ও ২৯ নম্বর পেয়েছিল। এরসঙ্গে প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষার নম্বর যোগ হলে সে পরীক্ষায় পাশ করে যেত। কিন্তু শিক্ষককে ঘুষ দিতে গিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনল।