Traffic Rules: ট্রাফিক আইন ভাঙলেও দিতে হবে না এক টাকাও জরিমানা! বড় ঘোষণা এই রাজ্যে
Gujarat Government: ট্রাফিক আইনে ছাড়ের কথা টুইটে ঘোষণা করেন রাজ্যের মন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি লিখে দেন, "যদি কেউ ট্রাফিক নিয়ম ভাঙেন, তবে গুজরাট পুলিশ তাদের জরিমানার বদলে ফুল দিতে বোঝাবেন যে তারা যেন ট্রাফিক আইন না ভাঙেন।"
আহমেদাবাদ: আর মাত্র দুটো দিন, তারপরই দীপাবলি। আলোর উৎসব নিয়ে মেতে উঠেছে গোটা দেশ। এই উৎসবের দিন যাতে আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, এবার সরকারের তরফেও দীপাবলি উপলক্ষে উপহার দেওয়া শুরু হল। আর উপহারের দিক থেকেও সবথেকে বড় চমক দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাট। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ভি ঘোষণা করলেন, দীপাবলি উপলক্ষে ২১ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর অবধি ট্রাফিক আইনে ছাড় দেওয়া হবে। কোনও রকমের নিয়ম ভঙ্গ করলেও, সাধারণ মানুষকে দিতে হবে না এক টাকাও জরিমানা!
চলতি বছরের শেষ ভাগেই গুজরাটের বিধানসবা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই জোরকদমে চলছে নির্বাচনী প্রচার। এরই মাঝে দীপাবলি উপলক্ষে রাজ্য সরকারের তরফে বড় উপহার দেওয়া হল। ঘোষণা করা হল, ২১ থেকে ২৭ অক্টোবর যাবতীয় ট্রাফিক আইনে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কোনও ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলেও দিতে হবে না জরিমানা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ভি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলের আরও একটি জনমুখী সিদ্ধান্ত এটি।”
આગામી તારીખ 27 ઓક્ટોબર સુધી જનતા પાસેથી કોઈ પ્રકારનો ટ્રાફિક દંડ નહીં વસૂલ કરવાનો નિર્ણય કરવામાં આવ્યો છે.
નિર્ણય પ્રજા હિતમાં લેવાયો હોય જેનો ઉપયોગ કાયદાનો ભંગ કરવા માટે નહીં જો કોઈથી નિયમભંગ થાય તો ગુજરાત પોલીસ ફૂલ આપી નિયમભંગ ન કરવા સમજાવશે.
— Harsh Sanghavi (@sanghaviharsh) October 21, 2022
ট্রাফিক আইনে ছাড়ের কথা টুইটে ঘোষণা করেন রাজ্যের মন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি লিখে দেন, “এই সুযোগকে ব্যবহার করে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আইন ভাঙবেন না। যদি কেউ ট্রাফিক নিয়ম ভাঙেন, তবে গুজরাট পুলিশ তাদের জরিমানার বদলে ফুল দিতে বোঝাবেন যে তারা যেন ট্রাফিক আইন না ভাঙেন।”
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “দীপাবলি হল আলোর উৎসব…রঙ্গোলির হরেক রঙ, অনেক মিষ্টি ও আতশবাজি-প্রদীপের আনন্দ-উচ্ছাস নিয়ে আসে এই উৎসব। এই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেলজীর আরও একটি জনদরদী সিদ্ধান্ত হল এটি।”
গুজরাট সরকারের তরফে টুইটে এই ঘোষণা করতেই বহু মানুষ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে যেমন স্বাগত জানিয়েছেন, তেমনই অনেকে আবার তীব্র সমালোচনাও করেছেন। একদিকে কিছু নেটাগরিক যেমন বলেছেন, এবার সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় ট্রাফিক আইন মেনে চলবে, তেমনই আরেক পক্ষের মত, এতে রাজ্যে যানজট ও দুর্ঘটনার সংখ্য়া আরও বাড়বে।