‘লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, পূরণ করতেই হবে’, স্বাস্থ্যমন্ত্রককে কী কাজ দিলেন নমো?
Health Ministry on PM Narendra Modi's Target: সংক্রমণ রুখতে পরীক্ষা, রোগী চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা ও টিকাকরণের উপরই জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার হার বৃদ্ধি এবং করোনাবিধি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
নয়া দিল্লি: বর্তমানে কেন্দ্র সরকারের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত, তা স্থির করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানিয়ে দিয়েছেন, যেভাবেই হোক এই লক্ষ্য পূরণ করতেই হবে সরকারকে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই গুরুভারের কথাই জানালেন দেশের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডঃ ভিকে পাল। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেভাবেই হোক, সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ আটকাতেই হবে।”
সাংবাদিক সম্মেলনে ডঃ ভিকে পাল বলেন, “আমাদের বৃহৎ সংখ্যক জনগণ এখনও বিপদমুক্ত নয়। ভাইরাস আমাদের আশেপাশেই রয়েছে এবং যেকোনও মুহূর্তে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও ধীরগতিতে কমছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কয়েকটি রাজ্যের বাড়তি সংক্রমণ চিন্তার কারণ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন যে যেভাবেই হোক, তৃতীয় ঢেউ রুখতেই হবে।” সংক্রমণের সম্ভাব্য ঢেউ রুখতে সরকারের তরফে টিকাকরণের গতি বাড়ানো হবে বলে জানান ডঃ ভিকে পাল।
শুক্রবারই ছয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের “প্রায়োরিটি” তৃতীয় ঢেউকে আটকানোই। সংক্রমণ রুখতে পরীক্ষা, রোগী চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা ও টিকাকরণের উপরই জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার হার বৃদ্ধি এবং করোনাবিধি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিকে, একাধিক রাজ্য থেকে ফের একবার টিকাসঙ্কটের কথা জানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন কেন্দ্রের কাছে অতিরিক্ত এক কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলেন। দিল্লির তরফেও জানানো হয়েছে, মজুত কোভিশিল্ড শেষ হয়ে যাওয়া একাধিক টিকাকেন্দ্রকে বন্ধ রাখতে হয়েছে। ক্রল, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রও একই দাবি জানিয়েছে। আরও পড়ুন: ‘রাস্তায় দেখলেই বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিন’, কানওয়ার যাত্রা রুখতে চররম কড়াকড়ি উত্তরাখণ্ডে