স্বামীকে খুন করলেও পেনশন পাবেন স্ত্রী: পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট
বলজিৎ কাউরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় স্বামীর পেনশন
অম্বালা: স্বামীর মৃত্যুর পর দিব্যি পেনশন পাচ্ছিলেন স্ত্রী। কিন্তু বছর খানেক বাদেই তাঁর বিরুদ্ধে হল খুনের মামলা। আরও ২ বছর বাদে দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। আর তখনই বন্ধ হল সরকারি পেনশন। সেই মামলার শুনানিতেই এক অদ্ভুত পর্যবেক্ষণ আদালতের। আদালত বলছে, স্বামীকে খুন করলেও পেনশন পাবেন স্ত্রী।
পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে চলছিল এই মামলার শুনানি। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, খুন বা কোনও অপরাধের মামলা থাকলেও পেনশন দিতে হবে স্ত্রীকে।
আরও পড়ুন: রুশ গোয়েন্দাদের ৪০ বছর গবেষণার ‘থিসিস পেপার’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প!
শুনানিতে বলা হয়েছে, “সোনার ডিম পাড়া হাঁসকে কেউ কখনও হত্যা করে না। আর স্ত্রীকে ফ্যামিলি পেনশন থেকে বঞ্চিত করা উচিৎ নয়। অপরাধের মামলা থাকলেও নয়।” স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারকে অর্থ সাহায্য করার জন্যই এই ফ্যামিলি পেনশন চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘রুদ্র ভাল অভিনয় করে না, মমতার দয়ায় ১ লাখ টাকার চাকরি নিয়েছিল’, কটাক্ষ সৌগতর
অম্বালার বাসিন্দা বলজিৎ কাউরের ওই মামলা চলছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে। ২০০৮ সালে তাঁর স্বামী তারসেম সিং মারা যান। তারসেম সরকারি চাকরি করতেন। ২০০৯ সালে বলজিৎ কাউরের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা দায়ের হয়। বলজিৎ ২০১১ সালে দোষী সাব্যস্ত হন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি হরিয়ানা সরকারের কাছে থেকে পারিবারিক পেনশনের টাকা পেতেন। কিন্তু ২০১১ সালে তা বন্ধ করে দেয় হরিয়ানা সরকার। বলজিৎ হরিয়ানা সরকারের নির্দেশ খারিজ করার আর্জি জানিয়ে মামলা করে।
সেই মামলা শুনানিতেই এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত। লজিতকে দু’মাসের মধ্যে তাঁর বকেয়া পারিবারিক পেনশনের টাকা ও অন্যান্য প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।