নদীর উপর ঝুলছে বাসের ‘নিখোঁজ’ অংশ, আলো ফুটতেই উদ্ধারকাজে নামল জওয়ানরা, বাড়ল মৃতের সংখ্যাও
Himachal Pradesh Landslide Update: গতকাল রাতেই উদ্ধারকারী দলের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, পাথর সরিয়ে চাপা পড়ে থাকা বাসটির খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। বাসের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন আটকে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্নর: অবশেষে খোঁজ মিলল ধসে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বাসের অর্ধেক অংশের। উদ্ধারকারী দলের আশঙ্কা মতোই তা ৫০০ মিটার নীচে খাদে আটকে রয়েছে। আলো ফুটতেই ফের শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য। শেষ খবর পাওয়া অবধি, এখনও অবধি মোট ১৩টি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন।
বুধবার দুপুরে হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায় আচমকাই ভয়ঙ্কর ভূমিধস নামে। রেকং পেও-সিমলা হাইওয়ের মাঝেই আটকে পড়ে রাজ্য পর্যটন দফতরের একটি বাস, একটি ট্রাক ও কয়েকটি ছোট গাড়ি। ধসের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে পাথরের ধাক্কায় বাসের চালক ছিটকে পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়। দুপুর থেকেই উদ্ধারকার্যে নামে সেনা বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর ও আইটিবিপির জওয়ানরা। একে একে উদ্ধার হয় ১১টি দেহ। পরে এ দিন সকালে আরও দুটি দেহ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে মোট ১৩টি দেহ উদ্ধার হয়েছে।
গতকাল রাতেই উদ্ধারকারী দলের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, পাথর সরিয়ে চাপা পড়ে থাকা বাসটির খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। মাটি কাটার মেশিন দিয়ে পাথর সরানো হচ্ছে। বাসের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন আটকে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পরে গভীর রাতে উদ্ধারকারী দল জানায়, বাসের অর্ধেক অংশের খোঁজ মিলছে না। ধসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বুঝতে ড্রোনের সাহায্যেও গোটা এলাকায় নজরদারি রাখা হয়।
Himachal Pradesh | Another body has been recovered by Indo-Tibetan Border Police (ITBP) personnel from the wreckage of a bus following the landslide in Kinnaur. Death toll rises to 11.
(Pic credits: ITBP) pic.twitter.com/cm3As2GiMg
— ANI (@ANI) August 12, 2021
এ দিন সকালে আলো ফুটতেই ফের শুরু হয়ে যায় উদ্ধারকার্য। সেই সময়ই রাস্তা থেকে ৫০০ মিটার নীচে ও সুতলেজ নদী থেকে ২০০ মিটার উপরে আটকে থাকতে দেখা যায় বাসের অর্ধেক অংশ। বাসটি নীচে পড়ে যাওয়া এবং তার উপর প্রচুর সংখ্যক বোল্ডার এসে পড়ায় উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে। ওই বাসের ভিতর আটকে থাকা যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ক্ষীণ বলে মনে করছেন উদ্ধারকারী দল।
ঘটনাস্থানের একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ক্রমাগত পাহাড় থেকে নেমেই আসছে বোল্ডার-পাথর। ধসের জেরে আটকে পড়া গাড়িগুলির উপর তা আছড়ে পড়ছে। তবে আইটিবিপির ২০০ জওয়ান অতি তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন। গতকালও গভীর রাত অবধি উদ্ধারকার্য চলে। তবে ধসের জেরে মাটি আলগা হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানিয়েছেন, এনডিআরএফকেও ডাকা হয়েছে উদ্ধারকার্যে সাহায্যের জন্য। আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ, রবিবার থেকে কি স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারবে মহারাষ্ট্রবাসী?