Pegasus: ‘পেগাসাস’ নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের, প্রমাণ চাইলেন অমিত শাহ
বিএসএফ মাদক বাজেয়াপ্ত করতে পারে। কিন্তু কোনও মামলা করতে পারে না। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এটা নিয়ে মাদক পাচার ইস্যু করে তুলছে।
নয়া দিল্লি: ফের ‘পেগাসাস’ ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সংসদ। বুধবার লোকসভায় সাংবাদিক থেকে সাংসদদের ফোনে ‘পেগাসাস চরবৃত্তির’ অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস সংসদ গৌরব গগৈ। যার কড়া জবাব দিয়ে এই ধরনের মন্তব্যের ‘প্রমাণ দেওয়ার’ দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি মাদক পাচার নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ নিয়েছে এবং এব্যাপারে রাজ্যগুলিকেও বিএসএফ-এর কাজে সহায়তা করা উচিত বলে দাবি জানান শাহ।
এদিন মূলত মাদক পাচার রোধ নিয়েই লোকসভায় বিতর্কের সূত্রপাত। অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফোনে চরবৃত্তির অভিযোগ তুলে জানতে চান,” পেগাসাস সফটওয়্যার লাগিয়ে সরকার কতজন ড্রাগ মাফিয়াকে এখনও পর্যন্ত ধরতে পেরেছে, যেটা রাজনৈতিক নেতা এবং সাংবাদিকদের উপর ব্যবহার করা হয়?” একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “যদি আমি ভুল হই তাহলে সরকারের বলা উচিত যে তারা পেগাসাস ব্যবহার করে না।” এর জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এই সাংসদ একটা গুরুতর অভিযোগ এনেছেন যে, তাঁর ফোনে পেগাসাস রয়েছে। এটা আগে প্রমাণ করুন। প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের কথা আপনি সংসদে বলতে পারেন না।”
শাহের পেগাসাস নিয়ে মন্তব্যের পর উত্তর-পূর্বাঞ্চল ড্রাগ করিডর হিসেবে এখনও পর্যন্ত ব্যবহার হয় বলে অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, “ড্রাগ ইস্যু নতুন কোনও ঘটনা নয়। ২০১২ সাল থেকে আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন। কিন্তু প্রত্যেকবারই এই নিয়ে জবাব এড়িয়ে যাওয়া হয়। এমনকি কোভিড এবং চিন বিতর্কও এড়িয়ে গিয়েছে সরকার।” সেনাবাহিনীর পিছনে সরকার মুখ লুকাচ্ছে অভিযোগ তুলে গগৈ আরও বলেন, “এই সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত, সেনাবাহিনী দ্বারা নয়। তাই জনগণের কাছে এই সরকারের জবাব দেওয়া উচিত।”
কংগ্রেস সাংসদের জবাবে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “কোন-কোন রাজ্যের কোন এলাকা দিয়ে মাদক পাচার হচ্ছে সেটা আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে।” অপরাধী কত বড় সেটা বড় ঘটনা নয়, আগামী দু বছরের মধ্যে পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তন হয় সেটাই দেখার বলেও জানান তিনি। বিএসএফের মাদক পাচারকারীদের ধরা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “সীমান্তরক্ষা করা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব। আর সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যখন আমরা বিএসএফের হাতে দিয়েছি তখন তাদের কাজ করতে দেওয়া প্রতিটি রাজ্যের দায়িত্ব। বিএসএফ মাদক বাজেয়াপ্ত করতে পারে। কিন্তু কোনও মামলা করতে পারে না। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এটা নিয়ে মাদক পাচার ইস্যু করে তুলছে।” এজেন্সির উপর আমাদের ভরসা রাখা উচিত বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর যারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনাও সরকারের দায়িত্ব বলে জানান অমিত শাহ। এ ব্যাপারে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে একসঙ্গে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়েরও বার্তা দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কোথায়, কত মাদক বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেটা না দেখে কোথা থেকে সেটা আসছে সেটা তদন্ত করে দেখা উচিত।”