Amit Shah: রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
নয়া দিল্লি: হাওড়ার শিবপুরের পর উত্তপ্ত হুগলির রিষড়া (Rishra)। গত দু-তিনদিন ধরে রিষড়ার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ঘটনার জল গড়িয়েছে দিল্লিতেও। এবার রিষড়ার ঘটনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে জবাব তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ জানতে চেয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে ই-মেল করা হয়েছে। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তলব নতুন কিছু নয়, এটা রুটিন ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
রিষড়ার উত্তেজনার ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। গোটা বিষয়টি কেন্দ্রকেও জানিয়েছে। মঙ্গলবার সকালেই রিষড়ার ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কাছে জবাব তলব করলেন বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, রিষড়ার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোসও। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দার্জিলিং সফর কাটছাঁট করে এদিন সকালেই তিনি কলকাতা ফিরে আসেন এবং বিমানবন্দর থেকে সোজা রিষড়া যান। অশান্তি কবলিত রিষড়া স্টেশন চত্বর পরিদর্শন করে হিংসা বরদাস্ত করা হবে না বলে কড়া বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি এই ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলিকেও দুষে রাজ্যপালের মন্তব্য, রাজ্যে রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন চলছে। অন্যদিকে, পুলিশকে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যারা অশান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের কোনওভাবে রেয়াত দেওয়া হবে না বলে দিঘা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে হাওড়ার শিবপুর এলাকাতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রিষড়া। সোমবার রাতে সেই উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়। চলন্ত ট্রেনে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে এবং দীর্ঘক্ষণ হাওড়া-তারকেশ্বর শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এদিনও এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। যদিও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন ট্রেনে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অন্যদিকে, রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করতে এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজেপির প্রতিনিধি দল।