Thane Theft: প্রাক্তন বিধায়কের দাদার বাড়িতে চুরি! জিএসটির ৪০ লক্ষ টাকা, সোনার গয়না নিয়ে উধাও পরিচারক

Thane: প্রাক্তন বিধায়ক পাপ্পুর ৮০ বছর বয়সী দাদা নারায়ণ কালানি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, উল্লাসনগরের ক্যাম্প নম্বর ২-তে কালানি মহল নামের বাড়িতে অভিযুক্ত ব্যক্তি কাজ করত।

Thane Theft: প্রাক্তন বিধায়কের দাদার বাড়িতে চুরি! জিএসটির ৪০ লক্ষ টাকা, সোনার গয়না নিয়ে উধাও পরিচারক
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2022 | 4:46 PM

থানে: প্রাক্তন বিধায়কের দাদার বাড়িতে চুরি করার অভিযোগে পরিচারকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। উল্লাসনগর থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাক্তন বিধায়ক পাপ্পু কালানি (Pappu Kalani) দাদার বাড়িতে চুরি করেছিল ওই কৃষ্ণকানাত ফুলপারদি নামের ওই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, নগদ ৫ লক্ষ টাকার পাশাপাশি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার সোনার গহনাও চুরি করেছে অভিযুক্ত পরিচারক। চুরির ঘটনার পর ওই ব্যক্তি পলাতক, তাঁকে খুঁজে বের করে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।

প্রাক্তন বিধায়ক পাপ্পুর ৮০ বছর বয়সী দাদা নারায়ণ কালানি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন, উল্লাসনগরের ক্যাম্প নম্বর ২-তে কালানি মহল নামের বাড়িতে অভিযুক্ত ব্যক্তি কাজ করত। কালানি পরবর্তীকালে জানতে পারেন, ফুলপারদিকে জিএসটি বাবদ তিনি তাঁকে যে ৪০ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা দিয়েছিলেন, সে তা নিজের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় সেন্ট্রাল থানায় ২৯ সেপ্টেম্বর এফআইআর দায়ের হয়েছে।

এই ঘটনার পর কালানি জানতে পারেন তাঁর বাড়ি থেকে নগদ অর্থ ও সোনার গয়নাও উধাও। উল্লাসনগর থানার এক পুলিশ আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, “১০ গ্রামের দুটি সোনার আংটি, ৩০ গ্রাম সোনার একটি ব্রেসলেটের পাশাপাশি নগদ টাকাও নারায়ণ কালানির বাড়ি থেকে উধাও।” অক্টোবরের ১১ তারিখে এই ঘটনার জন্য স্থানীয় থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যাঁর ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৮১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্য ছাড়াও একমাত্র ফুলপারদির বেডরুমে ঢোকার অনুমতি ছিল। সেই কারণেই সন্দের যাবতীয় তির তাঁর দিকে গিয়েছে। থানার সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর দিলীপ ফুলপাগারে এই প্রসঙ্গে বলেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তি হায়দরাবাদের বাসিন্দা এবং নারায়ণের বাড়িতে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে সে কাজ করছে। পরিবারের সকল সদস্যরা তাঁকে বিশ্বাস করত সেই কারণেই তাঁকে আর্থিক লেনদেনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।”