Afghanistan : কাবুলে আটকে প্রায় একশো ভারতীয়, দ্রুত উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির
Indians stranded in Kabul: শিশু ও মহিলা সহ প্রায় ১০০ জন ভারতীয় এবং ২২২ জন ভারতীয় বংশোদ্ভুত আফগান নাগরিক আটকে পড়েছেন কাবুলে। তাঁদের যাতে ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়, সেই অনুরোধ করেছেন তিনি চিঠিতে।
নয়া দিল্লি: আফগানিস্তানের কাবুলে এখনও প্রায় ৭০ জন ভারতীয় নাগরিক আটকে রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছেন আরও প্রায় ২০০ আফগান নাগরিকও। তাঁরা প্রত্যেকে অপেক্ষায় রয়েছেন, কখন কেউ তাঁদের উদ্ধার করতে আসবে, কখন একটি উদ্ধারকারী বিমান এসে নামবে কাবুল বিমানবন্দরে। একপ্রকার অসহায় হয়েই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা কাবুলে। তাঁদের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠাল ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ফোরাম এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। বিষয়টি যাতে বিবেচনা করে দেখা হয়, সেই অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রাক্তন সভাপতি মনজিৎ সিং জি কে চিঠিতে লিখেছেন, কাবুলে আটকে পড়া ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভুত আফগান নাগরিকরা ভীষণ আতঙ্কে রয়েছেন। ঘন ঘন শিখ নেতাদের কাছে এবং গুরুদ্বারগুলিতে ফোন আসছে উদ্ধার করার জন্য। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই ই-ভিসা পেতে সমস্য়া হচ্ছে। অথচ এর আগেও তাঁদের ভারতে আসার ইতিহাস রয়েছে, আগে ভিসাও পেয়েছিলেন। শিশু ও মহিলা সহ প্রায় ১০০ জন ভারতীয় এবং ২২২ জন ভারতীয় বংশোদ্ভুত আফগান নাগরিক আটকে পড়েছেন কাবুলে। তাঁদের যাতে ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়, সেই অনুরোধ করেছেন তিনি চিঠিতে।
এদিকে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরে বৈঠকে বসবে ভারত। সূত্রের খবর, চিন (China), পাকিস্তান (Pakistan) ও রাশিয়াকে (Russia) আমন্ত্রণ জানাতে চায় ভারত। নভেম্বরে সেই বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ১০ নভেম্বর ও ১১ নভেম্বর, দুটি দিনের মধ্যে যে কোনও একদিন বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মঈদ ইউসুফকে। একদিকে যখন সীমান্তে অস্থিরতা তুঙ্গে, বারবার জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবর সামনে আসছে, তখন ভারতের এই উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও দিল্লি মনে করছে, শান্তি স্থাপনে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবাধিকার ও নিরাপত্তা, উভয় ক্ষেত্রেই জোর দেওয়া হবে এই বৈঠকে।
গত ৩১ অগস্ট তালিবানের সঙ্গে এক টেবিলে বৈঠকে বসেছিল ভারত। কাতারের দোহায় ভারত-তালিবানের মধ্যে বৈঠক হয়। ভারতের পক্ষ থেকে এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল। তালিবানের পক্ষ থেকে নেতা আব্বাস স্তানিকজাইয়ের উপস্থিতি ছিল সেই বৈঠকে। সেখানে ভারতের পক্ষ থেকে তালিবানকে বেশ কয়েকটি কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তালিবানই ভারতের সঙ্গে এক টেবিলে বৈঠকে বসতে চেয়েছিল। সেই মতো কাতারের দোহায় এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ভারতের পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানানো হয়, আফগানিস্তানের মাটিতে যেন ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ না হয়।