Fake Watch: আপনার হাত ঘড়িটি কি এমন? যদি তাই হয়, তবে কষ্টের অর্থ জলে গিয়েছে, কারণ…
Fake Watch Scam: ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে উদ্ধার হওয়া ভুয়ো ঘড়িগুলি আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র। চিন থেকে প্রচুর পরিমাণে এই ধরনের ঘড়ি ভারতে নিয়ে আসা হচ্ছে।
মুম্বই: বাইরে বের হলে স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই হাত ঘড়ি পরে বাইরে বের হন। কিন্তু এবার সেই হাতঘড়িতেই বড়সড় জালিয়াতির হদিশের তদন্তে নেমে চোখ কপালে উঠেছেন তদন্তকারী আধিকারিকদের। বুধবার চক্রটিকে হাতেনাতে পাকড়াও করেছিল পুলিশ। তাদের কাছ থেকে নামীদামী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঘড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, চিন থেকে নিয়মিত ওই ভুয়ো ঘড়িগুলি এইল দেশে নিয়ে আসা হত। বুধবার মুম্বইয়ের মণীশ মার্কেট এবং এআই সাবা মার্কেটের ৬ টি দোকানে হানা দিয়েছিল পুলিশ। সেখানে থেকে হানা দিয়ে প্রায় ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকার ভুয়ো ঘড়ি উদ্ধার করেছিল তারা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডেড কোম্পানির সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে এমনভাবে ঘড়িগুলি তৈরি করা হয়েছিল যা দেখে কোনওভাবেই বোঝার উপায় নেই যে আসলে সেগুলি ভুয়ো। এই ভুয়ো ঘড়ি উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ এবং তাদের বিরুদ্ধে কপিরাইট ও ট্রেডমার্ক আইনে মামলা করা হয়েছিল।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে উদ্ধার হওয়া ভুয়ো ঘড়িগুলি আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র। চিন থেকে প্রচুর পরিমাণে এই ধরনের ঘড়ি ভারতে নিয়ে আসা হচ্ছে। তদন্তকারী দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে সমুদ্রের মাধ্যমে ঘড়িগুলি ভারতে পাঠানো হত। এবং বিভিন্ন ডকে ঘড়িগুলি পৌঁছে যেত। এবং বিভিন্নভাবে মধ্যস্থতাকারী মারফত ঘড়িগুলি বাজারে ছড়িয়ে পড়ত। সেখান থেকে বিভিন্ন ঘড়ির দোকানে সেগুলি পৌঁছে যেত।” ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘড়ির ব্যবসা করে প্রচুর টাকা লাভ হত। প্রত্যেকটি ঘড়ি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনে ৩-১০ হাজার টাকা বিক্রি করা হত। ধৃতদের জেরা করে বাকি ঘড়িগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।