AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

NFHS Report: স্বাধীনতার পর এই প্রথম, দেশে পুরুষদের তুলনায় বাড়ল মহিলাদের সংখ্যা!

NFHS Report Shows more Women than Men in India: কয়েকটি নির্দিষ্ট রাজ্যের উপর হওয়া এই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হতেই স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের (Health Ministry) তরফে বলা হয়েছে, "এই ফলাফলের মাধ্যমেই আমরা বলতে পারি যে ভারত উন্নত দেশগুলির দলে নাম লেখাতে চলেছে। এই প্রথম লিঙ্গ অনুপাত  (Gender Ratio) হাজার পার করল।"

NFHS Report: স্বাধীনতার পর এই প্রথম, দেশে পুরুষদের তুলনায় বাড়ল মহিলাদের সংখ্যা!
দেশে বাড়ছে মহিলাদের সংখ্যা। ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2021 | 7:57 AM
Share

নয়া দিল্লি: এ যেন উলট পুরাণ। এতদিন দেশে মহিলাদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বেশি হলেও, স্বাধীনতার পর এই প্রথম দেশে পুরুষদের সংখ্যাকে টপকে গেল নারীদের সংখ্যা। সম্প্রতিই জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষায় (National Family and Health Survey-5) এই তথ্য় উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে দেশে পুরুষ ও নারীর অনুপাত ১০০০:১০২০, অর্থাৎ প্রতি ১০০০ জন পুরুষ পিছু মহিলার সংখ্যা ১০২০।

কয়েকটি নির্দিষ্ট রাজ্যের উপর হওয়া এই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হতেই স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের (Health Ministry) তরফে বলা হয়েছে, “এই ফলাফলের মাধ্যমেই আমরা বলতে পারি যে ভারত উন্নত দেশগুলির দলে নাম লেখাতে চলেছে। এই প্রথম লিঙ্গ অনুপাত  (Gender Ratio) হাজার পার করল।” পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায়, তাদের কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয়। মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য কেন্দ্রের তরফে আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া থেকে শুরু করে লিঙ্গ ভেদাভেদ দূর করার মতো পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করা হয়।

জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, কেবল নারী-পুরুষের অনুপাতই নয়, জন্মের সময় লিঙ্গ অনুপাতও তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ০০১৫-১৬ সালে যেখানে জন্মহার ছিল ৯১৯, ২০১৯-২০২০ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৯-এ। এনএফএইচএস-৩-র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৫-০৬ সালে ভারতে পুরুষ ও মহিলার অনুপাত ছিল ১০০০: ১০০০। অর্থাৎ নারী-পপুরুষের সংখ্যা একই ছিল। ২০১৫-১৬ সালেই এই অনুপাত কমে দাড়িয়েছিল ৯৯১: ১০০০-এ।

গত ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ২০১৯-২১ সালের এনএফএইচসি (NFHS) রিপোর্ট প্রকাশ করে। ১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে এই সমীক্ষা কা হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে।  ওই রাজ্যগুলির জনসংখ্যা, জন্মহার, শিশুদের স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্য়ান্য বিষয়গুলিও পর্যালোচনা করা হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রথম দফার রিপোরট প্রকাশিত হয়।

জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৮৮.৬ শতাংশ শিশুর জন্মই কোনও প্রকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হয়। এনএফএইচএস-৪-র হার বৃদ্ধি পাওযায় ভারত ধীরে ধীরে সার্বজনীন প্রাতিষ্ঠানিক জন্মগ্রহণের দিকে এগোচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে প্রসবের পর নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুও অনেকাংশেই এড়ানো সম্ভব। প্রসবের সময় জটিলতা এড়ৈতে সকলেই যেন কোনও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান, তবে ঝুঁকি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব বলে জানানো হয়েছে।

দেশে বর্তমানে ৭৮ শতাংশ মায়েরাই প্রসবের পর স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে প্রসব পরবর্তী যথাযথ যত্ন পান। আগে এই হার ছিল ৬২.৪ শতাংশ। প্রসবের পরে নবজাতক শিশুর পাশাপাশি মায়েরাও যথাযথ যত্ন ও বিশ্রাম পাওয়ায়, দেশে প্রসূতি ও নবজাতক মৃত্যুর হারও কমানো সম্ভব বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যেহেতু প্রসবের পরে একমাসের মধ্যেই শিশু বা নতুন মায়ের মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, সেই কারণে প্রসবের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।