Congress:কর্মীদের ‘ইনসেনটিভ’ চালু করার পথে কংগ্রেস, সংগঠনকে ঢেলে সাজানোই লক্ষ্য

kerala congress নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর কংগ্রেস হাই কমান্ডের পূর্ণ সমর্থন তাঁর প্রতি থাকার কারণে, কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে তিনি যে পিছপা হবেন না সেটা আন্দাজ করাই যাচ্ছে।

Congress:কর্মীদের 'ইনসেনটিভ' চালু করার পথে কংগ্রেস, সংগঠনকে ঢেলে সাজানোই লক্ষ্য
ছবি গ্রাফিক্স
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2021 | 9:01 PM

তিরুবনন্তপুরম: ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তের পথে কেরল কংগ্রেস (Indian national Congress)। সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন কেরলের (Kerala) নতুন কংগ্রেস সভাপতি কে. সুধাকরণ (K. Sudhakaran)। নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর কংগ্রেস হাই কমান্ডের পূর্ণ সমর্থন তাঁর প্রতি থাকার কারণে, কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে তিনি যে পিছপা হবেন না সেটা আন্দাজ করাই যাচ্ছে। কেরল কংগ্রেস সূত্রের খবর, এক অভিনব সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে পারেন নবনিযুক্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

কংগ্রেস সূত্রে খবর নবনিযুক্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদমর্যাদার ভিত্তিতে কেরলের কংগ্রেস কর্মীদের জন্য মাসিক ভাতার নিয়ম চালু করতে পারেন। তাঁদের পদ অনুসারে ভাতার মান নির্ধারিত হবে, এমনটাই জানা যাচ্ছে কেরল কংগ্রেস সূত্রে। সর্বক্ষণের পার্টি কর্মীরা ইনসেনটিভ পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে তিনি যে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন, তার আন্দাজ মিলেছিল ১৪ টি জেলার নতুন সভাপতিকে নিয়ে হওয়া বৈঠকের সময়। সেই বৈঠকেই সর্বক্ষণের পার্টি কর্মীদের ইনসেনটিভ দেওয়ার প্রসঙ্গটি উঠে আসে।

দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে তিনি যে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন, তার আন্দাজ মিলেছিল ১৪ টি জেলার নতুন সভাপতিকে নিয়ে হওয়া বৈঠকের সময়। সেই বৈঠকেই সর্বক্ষণের পার্টি কর্মীদের ইনসেনটিভ দেওয়ার প্রসঙ্গটি উঠে আসে।

ওই বৈঠকে আরও একটি প্রসঙ্গ উঠে আসে। সাধারণত কোনও বৈঠক চলাকালীন দেখা যায় যে মঞ্চে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি লোক বসে রয়েছেন। এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেই বিষয়ে পার্টি নেতৃত্বকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে সভাপতি কে. সুধাকরণের তরফে জেলা নেতৃত্বকে অভ্যন্তরীণ বিষয় দ্রুত মিটিয়ে ফেলার জন্য জেলা ভিত্তিক শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও নেতারা বড় বড় হোর্ডিং কাটআউট লাগিয়ে যেন আত্মপ্রচার না করেন সেই বিষয়ে দলের তরফে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

সাধারণত পাঁচ বছর পর পর কেরলে রাজনৈতিক পালা বদল হয়। ব্যতিক্রমী এইবারের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly election)। এই বছর কেরলে বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি কংগ্রেস। বরং দীর্ঘদিনের ট্রেন্ডকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে এই নিয়ে পরপর দু’বার ক্ষমতায় এসেছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ।

নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ হিসেবে কংগ্রেসের রাজনৈতিক দুর্বলতাকে দায়ী করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী কেরলের ওয়েনাড় থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই কেরলে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় যে অনেকাংশে তাঁর ওপর, এমন মন্তব্যও করেছিলেন অনেকে। সাংগঠনিক ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথা রেখে তাই সাংগঠনিক খামতিগুলোকে দ্রুত মেরামত করতে চাইছে কংগ্রেস হয় কমান্ড। কংগ্রেস আগামী দিনে অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও এই ‘ ইনসেনটিভ মডেল ‘ চালু করে কিনা সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন রেড কার্পেটে শাড়ির সাজে শ্রীলেখা, কার ডিজাইনে সাজলেন?

আরও পড়ুন ‘প্রিন্সিপাল বলে কী কাজ করো? ওদিকে এলাকায় ঢুকতে পাই না’, বেতন না পেয়ে বিক্ষোভ কোভিড ওয়ার্ডের কর্মীদের