টানা ১৫ ঘণ্টা বৈঠকেও মিলল না সমাধান সূত্র, সম্পূর্ণ সেনা সরানোর বার্তা ভারতের

গতকাল চুসুল সেক্টরের বিপরীতে মল্ডোতে ভারত ও চিনের মধ্যে সেনাস্তরে বৈঠক শুরু হয়। দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা বৈঠক চলার পর রাত আড়াইটে নাগাদ বৈঠক সেরে বের হন দুই দেশের সেনা প্রধানরা।

টানা ১৫ ঘণ্টা বৈঠকেও মিলল না সমাধান সূত্র, সম্পূর্ণ সেনা সরানোর বার্তা ভারতের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 25, 2021 | 12:10 PM

নয়া দিল্লি: নতুন বছরে প্রথমবার বৈঠকে বসেছিল ভারত ও চিন। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা অবস্থান সরিয়ে পূর্বের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া। ১৫ ঘণ্টা ধরে বৈঠক চললেও এখনও অবধি কোনও পক্ষের তরফেই সমাধান সূত্র বের হওয়ার কথা জানানো হয়নি।

নভেম্বর মাসে অষ্টম দফা বৈঠকের পর দুই মাস কার্যত চুপচাপই ছিল লাল ফৌজ। সম্প্রতি এক চিনা সৈন্য ভারতীয় দিকে ঘোরাফেরা করতে ধরা পড়ে, পরে চিনের অনুরোধে তাঁকে ফেরতও দিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই বেজিংয়ের তরফে ভারতকে বৈঠকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। গতকাল চুসুল সেক্টরের বিপরীতে মল্ডোতে ভারত ও চিনের মধ্যে সেনাস্তরে বৈঠক শুরু হয়। দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক, রাত আড়াইটে নাগাদ বৈঠক সেরে বের হন দুই দেশের সেনা প্রধানরা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকালের বৈঠকে প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ প্রান্তের দখল করা অংশগুলি থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানায় বেজিং। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্যাহারের অন্যতম শর্ত হিসাবে এই বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে ভারতের তরফেও প্যাংগংয়ের উত্তর ভাগ থেকে একসঙ্গে দুই দেশের সেনা সরানোর দাবি জানানো হয়েছে। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের ভারতীয় অংশে চিনের গ্রাম তৈরির বিষয়টিও আলোচনায় তুলে ধরে ভারত। তবে বৈঠকে শেষ অবধি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: ফোন না করার সিদ্ধান্তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নীতীশ, তবুও আরোগ্য কামনা করলেন লালুর

এর আগে নভেম্বর মাসের বৈঠকেও সেনা সরানোর প্রস্তাবে দুই দেশ সহমত হলেও পরবর্তী সময়ে চিনের তরফে কোনও উদ্যোগ না দেখা দেওয়ায় সেনা সরানোর সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। চিনের আগ্রাসী মনোভাবের জবাবেই প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ অংশে সাতটি গিরিশৃঙ্গ দখল করে ভারতীয় সেনা।

গতকালের বৈঠক সম্পর্কে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব (Anurag Srivastava) বলেছিলেন, “দুই দেশের মধ্যে সামরিক স্তরে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও আলোচনা করা হবে।” অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) কড়া সুরেই বলেন, “চিনের তরফে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা না সরানো অবধি ভারতও তাদের সেনা সরাবে না। চিনের তরফে আপত্তি করা হলেও সীমান্তে ভারত দ্রুতগতিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ চালাচ্ছে।”

দুই দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতের সমাধান কবে হবে, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানেই বিশ্বাসী। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে, তবে এর নির্দিষ্ট কোনও তারিখ বা সময়সীমা জানানো সম্ভব নয়।”

আরও পড়ুন: ট্রাক্টর মিছিলে ‘ইন্ধনে’ ইমরানের দেশ! পাক টুইটার ইউজারদের তালিকা বানাল দিল্লি পুলিস