AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়ছে তালিবানের চোখরাঙানি, দ্রুত সরিয়ে আনা হবে ভারতীয়দের

Afganistan: নতুন করে নিরাপত্তার অবনতি হতে শুরু করেছে আফগানিস্তানে। মার্কিন সেনার বিদায় নেওয়ার পরই নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তালিবান।

বাড়ছে তালিবানের চোখরাঙানি, দ্রুত সরিয়ে আনা হবে ভারতীয়দের
ফাইল ছবি (টুইটার থেকে প্রাপ্ত)
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2021 | 4:03 PM
Share

কাবুল: গত কয়েকদিনের আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে সেখানে দূতাবাস চালানোও সম্ভব হচ্ছে না। তাই আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী ভারতীয়দের দ্রুত ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র। কাবুল, কান্দাহার, মাজার-ই-শরিফের মতো শহরে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হবে দ্রুত। ক্রমশ একের পর এক এলাকা দখল করছে তালিবান। তার জেরেই নিরাপত্তার অবনতি হয়েছে সে দেশে।

সরকারের দখল থেকে একে একে এলাকা চলে যাচ্ছে তালিবানের হাতে। এমনকি আফগান আধিকারিকরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁরা সরকারের শাসনে থাকা এলাকায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সম্পূর্ণ সরিয়ে নেওয়া হবে। এরপর থেকেই তালিবানি দখলে থাকা এলাকা সম্প্রসারিত হতে শুরু করেছে।

আফগানিস্তানে কাবুল দূতাবাস ছাড়াও মোট চারটি কনস্যুলেট রয়েছে ভারতের। ভারতীয় সেনা আধিকারিকেরাও সেখানে আফগান সেনা ও পুলিশকে ট্রেনিং দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন। সব আধিকারিককে ফিরিয়ে আনা হবে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সরিয়ে আনার কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে সূত্রের খবর। কান্দাহার ও মাজার-ই-শরিফে কনস্যুলেটের কাজ এখনও চললেও জালালাবাদ ও হায়রাত শহরে কনস্যুলেটের কাজ আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: লাহোর বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে ভারতের হাত, অভিযোগ পাক নিরাপত্তা উপদেষ্টার

আমেরিকার কাছ থেকে যে সব সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র পেয়েছিল আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী সে গুলোও আশঙ্কাজনক হারে তালিবানের হস্তগত হচ্ছে। আফগান সেনাবাহিনীর অন্তত দুটি ট্রাক, কয়েক ডজন মর্টার সিস্টেম ও অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান, ১৭টি ১২২ এমএম ডি-৩০ হউটিজার, বুলডোজার, এক্সকেভেটর ও অন্যান্য সরঞ্জাম তালেবানের দখলে গিয়েছে বলে আফগান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। কয়েক বছর ধরে আফগানিস্তানের সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম দিতে কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে আমেরিকা।