চিন সীমান্ত থেকে পাকিস্তানকে গোপনীয় তথ্য সরবরাহের অভিযোগ, ধৃত সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ পদক্ষেপ

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ধৃত সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কোর্ট মার্শালের যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে এবং তার বিরুদ্ধে সেনা আদালত চার্জ গঠন করে শুনানি শুরু করবে।

চিন সীমান্ত থেকে পাকিস্তানকে গোপনীয় তথ্য সরবরাহের অভিযোগ, ধৃত সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ পদক্ষেপ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 19, 2023 | 4:25 PM

নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি করার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। এবার ওই সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে কোট মার্শাল ‌প্রক্রিয়া চালু করতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। মূলত পাক চর আবিদ হোসেন ওরফে নায়েক আবিদের কাছে সীমান্তের গোপনীয় তথ্য পাচার করার অভিযোগ রয়েছে চিন সীমান্ত থেকে ধৃত সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে।

প্রতিরক্ষা জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সেনাকর্মীর নাম আলিম খান। সেনাবাহিনীর সিগন্যালম্যান পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন চিন সীমান্তে মোতায়েন ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি আবিদ হোসেনকে সীমান্তের গোপনীয় তথ্য সরবরাহ করতেন বলে অভিযোগ। পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর এজেন্ট আবিদ হোসেন ইসলামাবাদে পাকিস্তানের হাইকমিশনের কর্মী বলে জানা গিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ধৃত সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কোর্ট মার্শালের যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে এবং তার বিরুদ্ধে সেনা আদালত চার্জ গঠন করে শুনানি শুরু করবে।

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিককালে একাধিকবার সীমান্তরেখা অতিক্রম করে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে চিন। সেই সময়ই আলিম খান দেশের সীমান্তের গোপনীয় তথ্য সরবরাহ করতেন বলে অভিযোগ। যদিও তাঁর কাছে সেনাবাহিনীর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য ছিল না বলে দাবি সেনাবাহিনীর। তবে কোভিড-পর্বে লকডাউনের সময় সীমান্ত দিয়ে যান চলাচলের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য তিনি পাক এজেন্টকে সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ। এমনকি কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে সীমান্ত সংক্রান্ত তথ্য তিনি হাতানোর চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ। যদিও একাজে তিনি সফল হননি। তবে এই সমস্ত পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘জিরো টলারেন্স’ নিতে নিয়ে থাকে। তাই ওই সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে মার্শাল প্রক্রিয়ায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।