Ramdev: করোনা মহামারীর পর দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের হার বেড়ে গিয়েছে: রামদেব
গোয়ায়) যখন পর্যটকের সংখ্যা কমবে, তখন আমরা আধ্যাত্মিক ট্যুরিজমের প্রচার চালাব বলে জানালেন যোগগুরু রামদেব।
পানাজি: করোনা মহামারীর পর দেশে ক্যান্সার সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছে। শনিবার গোয়ার মিরামার সৈকতে যোগা ক্যাম্পে গিয়ে এমনই দাবি জানিয়েছেন যোগগুরু রামদেব। তাঁর দাবি, কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে ক্যান্সার আক্রান্তের হার অত্যধিক হারে বেড়ে গিয়েছে। মানুষ তাদের দৃষ্টিশক্তি হারাচ্ছে, শ্রবণশক্তিও হারাচ্ছে।
যদিও যোগগুরু রামদেবের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিশিষ্ট অঙ্কোলজিস্ট দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, “দু বছরে ভারতে ক্যান্সার সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশ হারে বেড়েছে এবং এর সঙ্গে মহামারীর কোনও সম্পর্ক নেই।” একইভাবে গোয়া বিজেপির মেডিক্যাল সেলের প্রধান ডা. শালকরের মতে, “ক্যান্সার আক্রান্তের হার কমছে না। কিন্তু এই একই সময়ে কোভিড-১৯ মহামারীকে আপনি দায়ী করতে পারবেন না। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ভারতে প্রতি ১ লক্ষ জনগণের মধ্যে ১০৪ জন ক্যান্সারে আক্রান্ত। ২০১৮ সাল থেকে এটি প্রতি লক্ষে ৮৫ শতাংশ হারে বেড়েছে।” একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে আমরা অনেক ভাল জায়গায় রয়েছি। সেই দেশে ক্যান্সার আক্রান্তের হার প্রতি লক্ষে ৫০০ জন।”
যোগগুরু রামদেব কেবল ক্যান্সার আক্রান্তের পরিসংখ্যান নিয়ে বক্তব্য করেই থেমে থাকেননি। তিনি গোয়াকে ‘যোগ ট্যুরিজম হাব’ গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। রামদেব বলেন, “আগামী দু-মাস এখানে (গোয়ায়) যখন পর্যটকের সংখ্যা কমবে, তখন আমরা আধ্যাত্মিক ট্যুরিজমের প্রচার চালাব। গোটা বিশ্ব থেকে মানুষ এখানে আসবে।” তিনি আরও বলেন, “গোয়া কেবল খাওয়া দাওয়া এবং আড্ডা হওয়ার জায়গা হওয়া উচিত নয়। জীবন মানে শুধু খাওয়া পান করা এবং মারা যাওয়া নয়।” মিরামার সৈকতকে যোগাসনের সৈকত প্ল্যাটফর্ম করে তুলবেন এবং গোয়াকে যোগকেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যাপারে রাজ্য সরকার সব রকম সাহায্য করবে বলেও দাবি রামদেবের।