United Nations: ‘ভারতীয় সমাজ বহুত্ববাদী এবং সহনশীল’, মেনে নিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ
United Nations: ভারতীয় সমাজ বহুত্ববাদী এবং সহনশীল। ভারতের এই চরিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে ভারতীয় সংবিধানে। শনিবার, স্বীকার করে নিলেন ভারতের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী শম্বি শা।
নয়া দিল্লি: ভারতীয় সমাজ বহুত্ববাদী এবং সহনশীল। ভারতের এই চরিত্রই প্রতিফলিত হয়েছে ভারতীয় সংবিধানে। শনিবার, স্বীকার করে নিলেন ভারতের জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী শম্বি শা। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এদিন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের এই প্রতিনিধিকে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এছাড়া, ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণ মিশ্র।
অনুষ্ঠানে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের ডিরেক্টর জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেসের লিখিত বার্তা পড়ে শোনান শম্বি শার্প। তিনি জানান, বর্তমানে ভারত রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী। মানবাধিকার এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতের নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।
শার্প আরও জানান, দীর্ঘকাল ধরেই ভারত মানবাধিকারের সর্বজনীন নীতি এবং সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের ধারণার সমর্থক। তিনি বলেন, “এই ধারণাগুলি ভারতীয় সংবিধানেই রয়েছে। ভারতীয় সংবিধান, একটি বহুত্ববাদী এবং সহনশীল সমাজ হিসাবে ভারতের প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে।” এই ক্ষেত্রে তিনি মহাত্মা গান্ধী এবং বিআর আম্বেদকরের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, গোটা বিশ্ব এই বিখ্যাত আইকনদের উদযাপন করে। ”
শার্প আরও জানান, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার প্রথম অনুচ্ছেদের খসড়ায় শুধুমাত্র পুরুষদের সমতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। হংসা মেহতা নামে এক ভারতীয় মহিলার জন্য়ই পরে সেই ঘোষণাপত্রে মহিলা ও পুরুষ – সমস্ত মানুষের সমতার কথা বলা হয়েছে।