INS Jatayu: নজরে মলদ্বীপ, লাক্ষাদ্বীপে তৈরি হচ্ছে ভারতের নয়া নৌঘাঁটি!
INS Jatayu at Lakshadweep: নৌবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতে গোনা কয়েকজন নৌসেনা কর্তা এবং কর্মীদের নিয়ে এই ঘাঁটি চালু করা হবে। পরে, ধীরে ধীরে এর ক্ষমতা বাড়িয়ে এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ নৌঘাঁটিতে পরিণত করা হবে। এই নয়া নৌঘাঁটি মূল কাজ হবে, ভারত মহাসাগরে প্রতিপক্ষ নৌসেনার কার্যকলাপের উপর নজর রাখা।

নয়া দিল্লি: মলদ্বীপের নাকের ডগায়, লাক্ষাদ্বীপে এক নতুন ঘাঁটি তৈরি করতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। ভারত মহাসাগরে আর ভাল নজরদারির জন্য এই নয়া নৌঘাঁটি তৈরি করা হবে। এই লক্ষ্যে পরের সপ্তাহেই রণতরী, ‘আইএনএস জটায়ু’কে মোতায়েন করা হবে লাক্ষাদ্বীপে। লাক্ষাদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপপুঞ্জে এই নতুন ঘাঁটি তৈরি করবে নৌবাহিনী। এই নয়া নৌঘাঁটি মূল কাজ হবে, ভারত মহাসাগরে প্রতিপক্ষ নৌসেনার কার্যকলাপের উপর নজর রাখা। প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি চিনের একটি গবেষণা জাহাজ মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে এসেছিল। সেই জাহাজটি এখনও মলদ্বীপের জলসীমার মধ্যেই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে, শ্রীলঙ্কায় আসতে চেয়েছিল জাহাজটি। কিন্তু, ভারতের পরামর্শ মেনে এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল কলম্বো। নৌবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতো গোনা কয়েকজন নৌসেনা কর্তা এবং কর্মীদের নিয়ে এই ঘাঁটি চালু করা হবে। পরে, ধীরে ধীরে এর ক্ষমতা বাড়িয়ে এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ নৌঘাঁটিতে পরিণত করা হবে।
এই নৌঘাঁটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ভারতীয় নৌসেনার উপস্থিতি জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরের সপ্তাহেই ভারতীয় নৌসেনার দুই বিমানবাহী রণতরী, আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্তে নৌসেনা কমান্ডারদের এক সম্মেলন হওয়ার কথা। সেই সম্মেলনেই নয়া নৌঘাঁটি স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে আলোতনা করা হবে। জানা গিয়েছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অঞ্চলে ভারতীয় নৌসেনার যে আইএনএস বাজ ঘাঁটি রয়েছে, প্রাথমিকভাবে আইএনএস জটায়ুও ভারত মহাসাগরে ওই ঘাঁটির মতোই ক্ষমতা দেবে ভারতীয় নৌসেনাকে। একইসঙ্গে, লাক্ষাদ্বীপের কাছে টহল দেবে বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্ত। এই প্রথম, আইএনএস বিক্রমাদিত্যের সঙ্গে আইএনএস বিক্রমাদিত্য টুইন ক্যারিয়ার অপারেশনে অংশ নেবে। মলদ্বীপ থেকে মাত্র ৫০ মাইল দূরে তৈরি হবে এই ঘাঁটি। ফলে, এই ঘাঁটির কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
এর পাশাপাশি, আগামী সপ্তাহে কেরলের কোচিতে একটি অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী এমএইচ-৬০ রোমিও মাল্টিরোল হেলিকপ্টারকে মোতায়েন করবে বাহিনীতে। ৪ মার্চ, গোয়ার নৌযুদ্ধ কলেজ ভবনের উদ্বোধন করা হবে। এর আগে, বিশাখাপত্তনমে এক্সারসাইজ মিলানে অংশ নিয়েছিল আইএনএস বিক্রমাদিত্য এবং আইএনএস বিক্রান্ত। বঙ্গোপসাগরে, ভারতের নেতৃত্বে ৫০টি দেশের নৌবাহিনী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে বেশ কিছু বাহিনী রণতরী নিয়ে যোগ দিয়েছিল, বাকিরা রণতরী ছাড়াই যোগ দিয়েছিল। এই অনুশীলনের মূল লক্ষ্য ছিল, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের সম্প্রসারণবাদকে রুখতে সমমনস্ক দেশগুলির নৌবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন।





