তাহলে কি বেজিংয়ে সরে আসবে IMF-এর সদর দফতর? চিনের উন্নতিতে প্রশ্ন শশী থরুরের
TV 9 বাংলা ডিজিটাল : লকডাউনের জেরে তলানিতে ঠেকেছিল সারা বিশ্বের অর্থনীতি। প্রত্যেকটি দেশ যখন অর্থনৈতিক ভাবে বিধ্বস্ত, তখনও নিজেদের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে চিন (China)। তাই কংগ্রেস সাংসদ শশী থরুরের (Shahshi Tharoor) প্রশ্ন, “তাহলে কি আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF) নিজেদের সদর দফতরের অবস্থান বদলে বেজিংয়ে আসবে?” ২০২০ সালে চিনই একমাত্র বৃহৎ দেশ, যাদের […]
TV 9 বাংলা ডিজিটাল : লকডাউনের জেরে তলানিতে ঠেকেছিল সারা বিশ্বের অর্থনীতি। প্রত্যেকটি দেশ যখন অর্থনৈতিক ভাবে বিধ্বস্ত, তখনও নিজেদের অর্থনীতি সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে চিন (China)। তাই কংগ্রেস সাংসদ শশী থরুরের (Shahshi Tharoor) প্রশ্ন, “তাহলে কি আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF) নিজেদের সদর দফতরের অবস্থান বদলে বেজিংয়ে আসবে?”
২০২০ সালে চিনই একমাত্র বৃহৎ দেশ, যাদের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। কিছু কিছু প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য এ-ও বলছে যে চিনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি আমেরিকাকেও (USA) ছাড়িয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (International Monetary Fund) নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতিতেই থাকবে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়, তাই টুইট করে এই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন শশী থরুর।
টুইট করে তিনি লিখেছেন, আইএমএফ নিজেই জানিয়েছে এবছর চিনের অর্থনীতি সম্প্রসারণ হবে প্রায় ১.৯ শতাংশ। যেখানে মার্কিন অর্থনীতি সংকুচিত হবে ৪.৩ শতাংশ। আগামী বছর চিনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা ৮.৪ শতাংশ। যেখানে মার্কিন সম্প্রসারণ হওয়ার সম্ভাবনা ৩.১ শতাংশ। এবছর সারা বিশ্বের জিডিপি প্রায় ৪.৪ শতাংশ কমে যেতে পারে। পরের বছর তা বাড়তে পারে ৫.২ শতাংশ। তবে তার কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাই নেই চিনের উপর। উল্টে চিনের বিশ্বব্যপী উৎপাদন বাড়বে কয়েক শতাংশ। এমনই তথ্য দিয়েছে আইএমএফ।
শোচনীয় অবস্থা ভারতের। আইএমএফ সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে এদেশের জিডিপি বাংলাদেশেরও নীচে নেমে যেতে পারে। সঙ্কুচিত হতে পারে প্রায় ১০.৩ শতাংশ। মঙ্গলবারের প্রকাশিত “ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক” (WEO) অনুযায়ী, গত ৪ বছরে ভারতের জিডিপিতে রেকর্ড পতন হতে পারে এবারেই। তবে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, ভারত কয়েক দিনের মধ্যেই অনেকটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। আগামী বছরই ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধি পেতে পারে ৮.৮ শতাংশ।
বিগত ৭৫ বছর ধরে ওয়াশিংটনে রয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের সদর দফতর। যদি আইএমএফের সম্ভাবনা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী বেজিং থেকেই নিয়ন্ত্রিত হবে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থাটি। সম্ভাবনাতেই ভর করে তাই প্রশ্ন কংগ্রেস নেতার।