স্লিপার সেলকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ, দেশের একাধিক শহরে হামলার ছক কষছে তালিবানের প্রতিপক্ষ!

সূত্রের দাবি, ভারতে তাদের বেশ কিছু স্লিপার সেল রয়েছে। তারা সেই স্লিপার সেলগুলিকে ফের সক্রিয় করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি আফগানিস্তান-পাকিস্তানের যে জঙ্গি সংগঠনগুলি রয়েছে, তাদেরও ভারতে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

স্লিপার সেলকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ, দেশের একাধিক শহরে হামলার ছক কষছে তালিবানের প্রতিপক্ষ!
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2021 | 1:04 PM

নয়া দিল্লি: আফগানিস্তানের সরকার পতনের পরই পরিস্থিতি বদল গিয়েছে সমগ্র বিশ্বের। তালিবানরা কাবুল দখলের পর থেকেই দেশের নিরাপত্তা ব্য়বস্থা নিয়েও উদ্বেগে ছিল নয়া দিল্লি। তবে তালিবান নয়, ভারতকে নিশানা বানিয়েছে অন্য জঙ্গি সংগঠন। সম্প্রতি কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলার নেপথ্যে থাকা ইসলামিক স্টেট-খোরাসান প্রদেশ বা আইসিস-কেপি ভারতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। গোয়েন্দাসূত্রে  জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা সীমান্তের আশেপাশে পাক জঙ্গি ও স্লিপার সেলগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে।

বড়সড় জঙ্গি হামলার খবর মিলতেই দেশের একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএস-কেপি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জঙ্গিরা ভারতে হামলা চালাতে পারে। দেশের অন্দরেই পাক মদতপুষ্ট যে জঙ্গি সংগঠনগুলি লুকিয়ে রয়েছে, তাদের আইইডি বিস্ফোরক ও অস্ত্র জোগাড় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে অর্থ সাহায্যেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নাকি আইসিস-কেপি।

আফগানিস্তান দখল ঘিরে সকলের নজর যখন তালিবানের উপর ছিল, সেই সময়ই কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে পরপর দুটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। প্রায় ২০০ নাগরিকের মৃত্যু হয় সেই বিস্ফোরণে। ওই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে নেয় ইসলামিক স্টেট-খোরাসান। পরেরদিনও বিমানবন্দরে একাধিক রকেট হামলা চালানো হয়। তালিবানের এই প্রতিপক্ষ সংগঠনই এ বার ভারতে হামলার ছক কষেছে।

সূত্রের দাবি, ভারতে তাদের বেশ কিছু স্লিপার সেল রয়েছে। তারা সেই স্লিপার সেলগুলিকে ফের সক্রিয় করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি আফগানিস্তান-পাকিস্তানের যে জঙ্গি সংগঠনগুলি রয়েছে, তাদেরও ভারতে হামলার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। আইইডি বিস্ফোরক ও অস্ত্র কেনার জন্যও টাকা জোগানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

গোয়েন্দাসূত্রে খবর, ডানপন্থী নেতা, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান ও জনবহুল এলাকাগুলিতে বড় মাপের বিস্ফোরণের ছক কষছে তারা। একইসঙ্গে ভারতে বসবাসকারী বিদেশীদের উপরও হামলা চালানো হতে পারে। আইসিস-কের উৎপত্তি যেহেতু পাকিস্তানেই, সেই কারণে প্রতিবেশী দেশে অবাধ আনাগোনা রয়েছে তাদের। সেখান থেকেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পৌঁছে সেখান থেকে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে আইসিস-কেপি।

আফগানিস্তান দখল করার পরই কাশ্মীর তথা ভারতের কোনও ইস্যুতে নাক গলাবে না বলেই দাবি করেছে তালিবান। এদিকে, তালিবানের নীতিতে অসন্তুষ্ট আইসিস-কেপি চায়, শরিয়া আইন বা ইসলামিক আইন কেবল আফগানিস্তানই নয়, এশিয়ার সমস্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ুক। সেই কারণেই নিশানার তালিকায় সবার আগে উঠে এসেছে ভারতের নাম।

অন্যদিকে, গোয়েন্দাসূত্রে হামলার খবর মিলতেই দেশজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। দিল্লি, মুম্বই সহ একাধিক বড় শহরে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ডের মতো জনবহুল এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়েছে। রাজধানীতে একাধিক রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন: তালিবান কি জঙ্গি? কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইলেন ওমর