Jammu and Kashmir: পন্ডিত সম্প্রদায়ের প্রতিবাদে উত্তাল কাশ্মীর! পাশে দাঁড়াল মুসলমানরাও

Jammu and Kashmir: শুক্রবার রাহুল ভাটের হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হল জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা। রাস্তায় নেমে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখালেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা।

Jammu and Kashmir: পন্ডিত সম্প্রদায়ের প্রতিবাদে উত্তাল কাশ্মীর! পাশে দাঁড়াল মুসলমানরাও
কড়া হাতে প্রতিবাদ দমন করল কাশ্মীর প্রশাসন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2022 | 8:14 PM

শ্রীনগর: ‘আমাদের হত্যা করার জন্যই কি এখানে নিয়ে আসা হয়েছে?’ বৃহস্পতিবার বিকালে, জম্মু ও কাশ্মীরের বুদগামে সরকারি অফিসের মধ্যেই জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন ৩৬ বছরের সরকারি কর্মী রাহুল ভাট। কাশ্মীরি পন্ডিত সম্প্রদায়ের এই যুবকের মৃত্যুর পর থেকেই উপত্যকার বাতাসে উড়ছে এই প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল গোটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় এই হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার সরকারি কর্মী এবং কাশ্মীরি পন্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের অভিযোগ কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রশাসন তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বিক্ষোভের আঁচ এতটাই বেশি ছিল, যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জ হয়, এমনকী, কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছুড়তে হয়েছে।

২০১০ সালে একটি কাশ্মীরি পন্ডিতদের জন্য এক বিশেষ কর্মসংস্থান প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছিল। এই প্যাকেজের মাধ্যমে ১৯৮০-এর শেষ দিকে উপত্যকা থেকে পালাতে বাধ্য হওয়া কাশ্মীরি পন্ডিত সম্প্রদায়ের সদস্যদের সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তাদের উপত্যকায় পুনর্বাসন দেওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছিল এই প্যাকেজ। নিহত রাহুল ভাট-ও এই প্রকল্পেই সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু, সরকারি কার্যালয়ের ভিতরেই তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। এই সকল কাশ্মীরি পন্ডিতদের অধিকাংশই থাকেন ট্রানসিট ক্যাম্পে। রাহুল ভাটের মৃত্যুর পর, শুক্রবার অধিকাংশ ব্যক্তিই সেই ট্রানসিট ক্যাম্প ছেড়ে নেমে এসেছেন রাস্তায়। বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা পথ অবরোধ করেছেন। স্লোগান তুলেছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার বিরুদ্ধে। স্লোগান উঠেছে বিজেপি, কেন্দ্রীয় সরকার এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেও।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই ক্লিপে দেখা যাচ্ছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদীদের নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করছে পুলিশ। এমনকী, কাশ্মীরি পন্ডিতরা বুদগামের এয়ারপোর্ট রোডের দিকে অগ্রসর হলে, তাদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়ে পুলিশ। তাতে ক্ষোভের আগুন বেড়েছে বই কমেনি। প্রতিবাদীদের প্রশ্ন, যদি সাধারণ মানুষের উপর প্রশাসন কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে পারে, লাঠিচার্জ করতে পারে, তাহলে গতকাল কি তারা জঙ্গিদের ধরতে পারত না?

রাহুল ভাটের হত্যা, উপত্যকায় নিরাপত্তাহীনতার ছবিটা স্পষ্ট করে দিয়েছে, এমনটাই মনে করছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। সরকারি দফতরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা থাকার কথা। অথচ, রাহুলকে হত্যা করা হয়েছে সরকারি অফিসে ঢুকেই। এর থেকেই উপত্যকার পন্ডিত সম্প্রদায়ের মানুষদের অসহায় অবস্থার ছবিটা ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এমনটাই দাবি প্রতিবাদীদের। তবে শুধু কাশ্মীরি পন্ডিতরাই নন, এদিনের প্রতিবাদে সামিল হন স্থানীয় মুসলিমরাও। সম্প্রদায় নির্বিশেষে কাশ্মীরিদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হন তাঁরা। উপত্যকার অন্য়ান্য অংশের মুসলিমদেরও তাঁরা, কাশ্মীরি পন্ডিতদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।