Amit Shah: রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু ও কাশ্মীর, শ্রীনগরে দাঁড়িয়ে ‘শাহি’ ঘোষণা
Jammu and Kashmir statehood : আসন পুনর্বিন্যাস এবং বিধানসভা নির্বাচনের পরই জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
শ্রীনগর : আবার রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir)। উপত্যকায় গিয়ে আজ এমনটাই ঘোষণা করলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, আসন পুনর্বিন্যাস এবং বিধানসভা নির্বাচনের পরই জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে (Restoration of Statehood)। উল্লেখ্য সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথমবার জম্মু ও কাশ্মীর সফরে গিয়েছেন অমিত শাহ।
উল্লেখ্য চলতি মাসে একের পর এক সাধারণ নাগরিকদের উপর আক্রমণ হয়েছে কাশ্মীরে। এখনও পর্যন্ত অক্টোবরে জঙ্গিদের গুলিতে ১১ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে কাশ্মীরে। এদের মধ্যে রয়েছেন কাশ্মীরী পণ্ডিত, ভিন রাজ্য থেকে কাশ্মীরে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা। আর কাশ্মীরের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যেই আজ উপত্যকায় পৌঁছে গিয়েছেন অমিত শাহ। তিন দিন কাশ্মীরে থাকবেন তিনি।
আজ কাশ্মীরের ইউথ ক্লাবে সেখানকার তরুণ ও যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, কেন বন্ধ হবে আসন পুনর্বিন্যাস? তাতে রাজনীতির ক্ষতি হবে বলে? এখন আর কাশ্মীরে কিছু থেমে থাকবে না। এখন কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায় নিজের নিজের সুযোগ পাবে। তাই আসন পুনর্বিন্যাস হবে। আসন পুনর্বিন্যাসের পর বিধানসভা ভোট হবে। তারপর জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আমি সংসদ ভবনে এ কথা বলেছি। এটাই এখন রোডম্যাপ। আমি কাশ্মীরের তরুণ, যুবদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে এসেছি।
কাশ্মীরে উপস্থিত নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের থেকে পাওয়া তথ্য থেকে সরকার বুঝতে পেরেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী কাশ্মীরের প্রধান সমস্যা এবং এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উগ্রপন্থাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। কাশ্মীরে বসবাসকারীদের অনেকেও এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুক্ত। এই গোয়েন্দা রিপোর্ট সরকারের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে জানা গিয়েছে।
সরকারী পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরে বসবাসকারী ৯৭ জন যুবক সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য নিজেদের বাড়িঘর ছেড়েছিলেন। এদের মধ্যে ৫৬ জনকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তাদের থেকে উদ্ধার করা পিস্তল থেকে সহজেই আন্দাজ করা যায় যে তারা ক্রমশই হিংস্র হয়ে উঠেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন কাশ্মীরে কর্মরত নিরাপত্তা বাহিনীর এক অফিসার। গত বছরে জঙ্গি সংগঠনের যোগ দেওয়ার সংখ্যাটা ছিল আরও বেশি। মোট ১৭৮ জন জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে ১২১ জনকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের উদ্যোগে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম কেমন চলছে উপত্যকায়, তা খতিয়ে দেখতেই কাশ্মীরে এসেছেন তিনি। পাশাপাশি, কাশ্মীরের নিরাপত্তাও খতিয়ে দেখবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯-এর জুন মাসে শেষ বার কাশ্মীরে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। আর তার ঠিক কয়েক মাস পরেই কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়। ওই বছরের অক্টোবর থেকেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষিত হয় কাশ্মীর। কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরে চলা সন্ত্রাস বন্ধ করতে ও কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে উন্নয়নমূলক কাজ কর্ম চালাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিল মোদী সরকার।