India-Bangladesh: ‘আরও গভীর হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক’, বার্তা দিলেন বিদেশ সচিব

Harsh Vardhan Shringla: বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত এয়ার ফোর্সের কনক্লেভ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন শ্রিংলা। সেখানে তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও পরিণত হয়েছে।

India-Bangladesh: 'আরও গভীর হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক', বার্তা দিলেন বিদেশ সচিব
এয়ার ফোর্সের কনক্লেভে বার্তা দিলেন বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2021 | 7:52 PM

নয়া দিল্লি : ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক (India Relation Relation) এখনও অটুট। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি বা অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভারত সহযোগী হিসেবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শনিবার এয়ারফোর্সের (Air Force) কনক্লেভ থেকে এমনটাই বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা (Harsh Vardhan Shringla)। ৫০ বছর আগে যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল, আজ তা আরও গভীরে পৌঁছেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত এয়ার ফোর্সের কনক্লেভ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন শ্রিংলা। সেখানে তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও পরিণত হয়েছে।

এ দিন তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা আজও আমাদের দুই দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন। তাঁর কথায়, ১৯৭১-এ যতটা নৈতিক ও রাজনৈতিক জয় ছিল, ভারতের জন্য ছিল চূড়ান্ত সামরিক জয়।

বাংলাদেশ কাজ করার সুবাদে তিনি ভারতীয় বায়ুসেনা জাওয়ানদের কীর্তি শুনেছেন বলে জানান হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি জানান ঢাকায় গিয়ে তিনি বায়ুসেনা জওয়ানদের সাহসিকতার কাহিনী শুনেছেন যা আজও বাংলাদেশের বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি উল্লেখ করেন, আত্মসম্মানের সঙ্গে বাংলাদেশ স্বাধীনতার যুদ্ধে জয়ী হয়েছিল।

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে কি ধরনের অত্যাচার চালিয়েছিল পাকিস্তান সে কথা মনে করিয়ে দেয় শ্রিংলা। তাঁর দাবি, এই অঞ্চলে কখনও এমন নৃশংস গণহত্যা দেখা যায়নি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবিকতার খাতিরে ভারত শরণার্থীদের প্রতি যে আচরণ করেছে তা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। তাঁর কথায় রাষ্ট্রপুঞ্জের রেস্পন্সিবিলিটি টু প্রটেক্ট বা সুরক্ষার দায়িত্ব সম্পর্কিত যে ধারণা রয়েছে তারই উদাহরণ তৈরি করেছিল ভারত। তিনি জানান সেই সময়ে শরণার্থীদের পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছিল ভারতীয়দের ওপর ও ভারত সরকারের উপর। তাঁর কথায় আজ গোটা বিশ্বে শরণার্থীদের প্রতি জন্য যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন রয়েছে তা প্রযোজ্য হলে বাংলাদেশের সেইসব শরণার্থীদের পরিণতি খারাপ হতে পারত।

আরও পড়ুন : অবশেষে বাতিল হয়ে গেল ফিরহাদের সভা, নেপথ্যে কি গোষ্ঠীকোন্দল?

এর আগে মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উল্লেখ করেছিলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন তিনি। ঢাকায় মুজিব শতবর্ষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্মৃতিচারণায় বলেছিলেন,জীবনের শুরুর দিকে আন্দোলনগুলির অন্যতম ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে সামিল হওয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক আজকের নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে। আর শুধু সম্পর্কই নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে তাঁর অংশগ্রহণও ছিল বলে দাবি করেন মোদী।

আরও পড়ুন : অনেক আদালতে নেই শৌচাগারও! আইনমন্ত্রীর পাশে বসেই পরিকাঠামোর সমস্যার কথা বললেন প্রধান বিচারপতি

আরও পড়ুন :  COVID-19: শুধু জীবনই নয়, করোনা ছিনিয়ে নিচ্ছে ভারতীয়দের গড় আয়ুর মেয়াদও! দাবি গবেষণায়