Jammu & Kashmir: ‘প্লাস্টিক দিন এবং সোনার কয়েন নিন’, স্বচ্ছ গ্রাম গড়ে তুলতে নয়া উদ্যোগ পঞ্চায়েত প্রধানের

পলিথিন বা প্লাস্টিক কখনও আবর্জনার সঙ্গে মিশে যায় না। এখন থেকে যদি এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা না হয়, তাহলে আগামী ১০ বছর পর বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎস খুঁজে পাওয়া যাবে না।

Jammu & Kashmir: 'প্লাস্টিক দিন এবং সোনার কয়েন নিন', স্বচ্ছ গ্রাম গড়ে তুলতে নয়া উদ্যোগ পঞ্চায়েত প্রধানের
প্রতীকি ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2023 | 6:31 AM

অনন্তনাগ: ‘প্লাস্টিক দিন এবং তার বদলে নিয়ে যান সোনার কয়েন।’ এটা কোনও বিজ্ঞাপনের কথা নয়, একথা বলছেন খোদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। এটা কোনও সিনেমার গল্প নয়। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও বাস্তবে এমনটাই দেখা যাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের স্বাধীন সাদিওয়ারা গ্রামে। মূলত গ্রামকে পরিচ্ছন্ন রাখতে এই বিশেষ ঘোষণা করেছেন সাদিওয়ারা গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ফারুক আহমেদ গ্যানাই।

অনন্তনাগ জেলার সাদিওয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ফারুক আহমেদ পেশায় আইনজীবীও। গত বছর থেকেই স্বচ্ছ গ্রাম গড়ে তোলার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন তিনি। বিশেষত গৃহস্থদের ব্যবহৃত বর্জ্য এবং ব্যবহৃত প্লাস্টিক যত্রতত্র না ফেলে রিসাইকেলিং অথবা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলার ব্যাপারে তিনি উদ্যোগী হয়েছেন। এই পরিকল্পনার ব্যাপারে সরপঞ্চ বলেন, “পলিথিন বা প্লাস্টিক কখনও আবর্জনার সঙ্গে মিশে যায় না। এখন থেকে যদি এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করা না হয়, তাহলে আগামী ১০ বছর পর বিশুদ্ধ পানীয় জলের উৎস খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটা ভেবেই আমি এই পরিকল্পনা নিয়েছি। পলিথিন দাও, সোনা নাও।” এটা কেবল মুখের কথা নয় যে ২০ কুইন্টাল পলিথিন দিচ্ছে তাকে একটি করে সোনার কয়েন দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গ্যানাই। আবার ২০ কুইন্টালের কম পলিথিন দিলে তার জন্য রুপোর কয়েন পুরস্কার রয়েছে।

পঞ্চায়েত প্রধানের এই কাজে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে এলাকার যুব সংগঠন এবং স্থানীয় ক্লাব। ওই ক্লাবের এক সদস্য মহসিন আমিন বলেন, “আমাদের এলাকা এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। আগে রাস্তার উপরে এদিক-ওদিক প্লাস্টিক পড়ে থাকতে দেখা যেত। এখন আর একটিও দেখা যায় না।” সরপঞ্চ গ্যানাইয়ের পরিকল্পনা ধীরে ধীরে গ্রাম ছাড়িয়ে গোটা অনন্তনাগ জেলায় ছড়িয়ে পড়বে বলেও আশাবাদী তাঁরা।

অনন্তনাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ডেভেলপমেন্ট (ACD) রিয়াজ আহমেদ সাউ বলেন, আবর্জনা-মুক্ত এবং প্লাস্টিক-মুক্ত গ্রাম গড়তে জেলার মধ্যে সাদিওয়ারা গ্রামে মডেলটি খুব অনুপ্রেরণাদায়ক। প্রশাসন সব রকম ভাবে সাদিয়ারা পঞ্চায়েতকে এব্যাপারে সাহায্য করবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে আবর্জনা সংগ্রহ করা থেকে সেগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার জন্য ডাস্টবিন করা হয়েছে, পাকা নর্দমা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে স্বচ্ছ গ্রাম গড়ে তুলতে জনগণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সরপঞ্চ গ্যানাই। তিনি বলেন, “স্বচ্ছতার দিকে প্রশাসনের বিশেষ নজর রয়েছে। তবে সকল নাগরিককে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।”