Hemant Soren: ‘আদিবাসীদের ডিএনএ-তে ভয় নেই’, হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের
Hemant Soren: শনিবার তিনি বলেন, "আমি আদিবাসীর ছেলে। আমরা কখনও ভয় পাইনি, কোনও কারসাজি করে আমাদের পথও আটকানো যায়নি।"
রাঁচী: যেকোনও মুহূর্তেই খোয়াতে পারেন বিধায়ক পদ। তারপরে মুখ্যমন্ত্রী পদও খোয়াতে পারেন তিনি। তবুও ভয় পেতে নারাজ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। বিধায়ক পদ খারিজের সম্ভাবনা তৈরি হতেই সরকার ভাঙার জল্পনাও শুরু হয়েছে ঝাড়খণ্ডে। বিধায়করা যাতে টাকার লোভে দল বদল না করেন, তার জন্য আগেভাগেই ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেসের বিধায়কদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। শনিবার সেখান থেকেই তিনি বিরোধীদের হুংকার দিয়ে বলেন, “আদিবাসীদের ডিএনএ-তে ভয় নেই। কেউ আমাদের ভয় দেখাতেও পারবে না আর কারসাজি করে আমাদের আটকাতেও পারবে না।”
নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল বিজেপি। রাজ্যপালের কাছেও তারা অভিযোগ জানান। চলতি সপ্তাহেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়। মুখবন্ধ ওই খাম ঘিরেই তৈরি হয়েছে রহস্য। সূত্রের দাবি, নির্বাচনী বিধিভঙ্গের কারণেই হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আগামিকাল, সোমবারই এই ঘোষণা করতে পারেন রাজ্যপাল রমেশ বাইস। তারই আগে বিরোধীদের হুশিয়ারি দিলেন হেমন্ত সোরেন।
শনিবার তিনি বলেন, “আমি আদিবাসীর ছেলে। আমরা কখনও ভয় পাইনি, কোনও কারসাজি করে আমাদের পথও আটকানো যায়নি। আমাদের পূর্বসূরীরাই আমাদের মন থেকে ভয় বের করে দিয়েছে। আমাদের, আদিবাসীদ্র ডিএনএ-তে ভয়ের কোনও জায়গা নেই।”
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই সুপারিশ গ্রহণও করে নিয়েছেন রাজ্যপাল রমেশ বাইস। সোমবাপ রাজভবন থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই হেমন্ত সোরেনকে পদত্যাগ করতে হবে। এক্ষেত্রে তার সামনে একটি পথই খোলা রয়েছে, তা হল ছয় মাস অপেক্ষা করা। ছয় মাসের মধ্যে ফের নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকছে তাঁর সামনে। এরপর ইউপিএ সরকারের বিধায়করা তাঁকে পুনর্নির্বাচিত করলে তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দাবিদার হিসাবে উঠে আসছে হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেনের নামই।