Jharkhand Crisis: ‘চিঠি আসলে এখনও প্রকাশ করা হল না কেন?’, রাজ্যপালকেই প্রশ্ন হেমন্তের মন্ত্রীদের
Jharkhand Crisis: মুখ্যমন্ত্রীর গদি সঙ্কট দেখা দিতেই, বিধায়ক 'চুরি' হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাতেও ভুগছে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস। সেই কারণেই শনিবার তারা দলের সমস্ত বিধায়কদের রাঁচী থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান।
রাঁচী: রাজ্যে ডামাডোল পরিস্থিতি, তবুও মাথা নত করতে নারাজ ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ নিয়ে যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, তা আসলে গণতন্ত্রের উপহাস, এমনটাই মন্তব্য করলেন ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী চম্পাই সোরেন। রবিবারই তারা সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, এখনও অবধি নির্বাচন কমিশনের তরফে বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়া হয়নি।
নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে নিজের নামে খনির ইজারা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। বিজেপির তরফে রাজ্যপালের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরই জাতীয় নির্বাচন কমিশনেও বিষয়টি জানানো হয়। গত সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যপাল রমেশ বাইসের কাছে। বর্তমানে ওই মুখবন্ধ খাম নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য। সূত্রের খবর, জাতীয় নির্বাচন কমিশন মুখ্যমন্ত্রী সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়ারই নির্দেশ দিয়েছেন। আজ, সোমবার রাজ্যপাল এই ঘোষণা করতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রীর গদি সঙ্কট দেখা দিতেই, বিধায়ক ‘চুরি’ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাতেও ভুগছে ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা ও কংগ্রেস। সেই কারণেই শনিবার তারা দলের সমস্ত বিধায়কদের রাঁচী থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান। রবিবার ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার নেতা চম্পাই সোরেন ও স্টিফেন মারান্ডি একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী বান্না গুপ্তাও। তারা জানান, এখনও অবধি কোনও বিধায়কের পদই খারিজ করা হয়নি। চম্পাই সোরেন বলেন, “আমরা শুনেছি যে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে রাজ্যপালের কাছে একটি চিঠি এসেছে। কিন্তু রাজ্যপাল রমেশ বাইস এই বিষয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেননি।”
এরপরই কংগ্রেস নেতা বান্না গুপ্তাও একই বিষয়ে বলেন, “আমরা রাজ্যপালের কাছ থেকেই জানতে চাই যে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দিয়েছে কিনা আর যদি বিধায়ক পদ খারিজের নির্দেশ দিয়েও থাকে,তবে তা এখনও জনগণের সামনে প্রকাশ করা হয়নি কেন?”
তিনি আরও বলেন, “যখন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের উন্নতির জন্য কাজ করছেন, সেই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে চক্রান্ত করা হচ্ছে, যাতে মানুষ ভয় পেয়ে যান।”