কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন জন বার্লা-সুভাষ সরকার, চরমে জল্পনা
Cabinet Expansion: সূত্র জানাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে বৈঠকে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার।
নয়া দিল্লি: মোদী (Narendra Modi) ক্যাবিনেটের সম্প্রসারণ। সন্ধে ৬টায় শপথ গ্রহণ করবেন ৪৩ জন মন্ত্রী। তার আগেই মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে বাংলার দুই মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীকে। সেই জায়গায় জোরাল হচ্ছে নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা। সূত্রের দাবি, মন্ত্রী হবেন তাঁরা দু’জন। অন্যদিকে আরেক সূত্র জানাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে বৈঠকে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন তাঁরাও। তবে এ বিষয়ে নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি।
মোদী ক্যাবিনেট ২.০-তে যদি জন বার্লা মন্ত্রিত্ব পান, তাহলে পৃথক উত্তরবঙ্গের যে দাবি তিনি তুলেছেন, তাতে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব একটা পরোক্ষ সমর্থনের ইঙ্গিতে সিলমোহর পড়তে পারে। তবে আপাতত বাংলা থেকে মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে নিশীথ ও শান্তনু। মোদী মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল হতে চলেছে। কারণ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক, শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার, সঞ্জয় ধোত্রে, রাওসাহেব দানভে পাতিল, রসায়ন ও সার মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া, রতন লাল কাতারিয়া প্রতাপ সরঙ্গি। ইস্তফা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও।
মোদীর মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ৮১ জন মন্ত্রী হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে যাঁদের ভাগে একাধিক মন্ত্রক রয়েছে, সেখানে পৃথক মন্ত্রী বসতে পারেন আজ। মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। তাঁর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগজান গত বছর মধ্য প্রদেশ দখল করতে সাহায্য করেছিল বিজেপিকে। তারপর থেকে রাজ্যসভায় একটি আসন ছাড়া উল্লেখযোগ্য কিছু পাননি তিনি। ফলে জ্যোতিরাদিত্যর নামই রয়েছে সবার উপরে।
দ্বিতীয় স্থানেই শোনা যাচ্ছে সর্বানন্দ সোনোয়ালের নাম। যাঁর আত্মত্যাগের কারণেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সোনোয়ালকেও ‘রিটার্ন গিফট’ দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এ ছাড়াও মন্ত্রী হতে পারেন নারায়ণ রানে, পশুপতি পরস, অনুপ্রিয়া পাটেল, পঙ্কজ চৌধুরী, রিতা বহুগুনা জোশি, বরুণ গান্ধী, আরসিপি সিং, লালন সিং, রাহুল কাসবান, সিপি জোশি। দিল্লির উদ্দেশে পা বাড়িয়েছেন রামশঙ্কর কথেরিয়া, সকলদীপ রাজভর ও রঞ্জন সিং রাজকুমারও।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব হারালেন বাবুল-দেবশ্রী, বাদ হর্ষ বর্ধনও