AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kanhaiya Kumar: ‘কংগ্রেস ছাড়া দেশ অচল’, নতুন দলে এসেই ‘জাহাজ’ বাঁচানোর আর্জি কানহাইয়ার

Kanhaiya Kumar on Joining Congress: কানহাইয়া জানান, এক ধরনের নির্দিষ্ট চিন্তাধারা গোটা দেশের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভবিষ্যতকে নষ্ট করছিল।

Kanhaiya Kumar: 'কংগ্রেস ছাড়া দেশ অচল', নতুন দলে এসেই 'জাহাজ' বাঁচানোর আর্জি কানহাইয়ার
সাংবাদিক বৈঠকে কানহাইয়া কুমার। ছবি-PTI
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2021 | 8:22 AM
Share

নয়া দিল্লি:  সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিপিআই(CPI)-র সঙ্গ ছেড়ে ‘হাত’ ধরেছেন দিল্লির জওহর লাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উঠে আসা ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। এদিকে, বামপন্থা ছেড়ে কংগ্রেসে (Congress)যোগদানের পরই কানহাইয়ার মতাদর্শ নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। সমালোচকদের জবাব দিয়ে কানহাইয়া কুমার বললেন, “আমি একা নই, অনেকেই ভাবেন যে আমাদের দেশ কংগ্রেস ছাড়া টিকে থাকতে পারবে না।”

মঙ্গলবারই দিল্লিতে প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)-র উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেন কানহাইয়া কুমার। একইসঙ্গে কংগ্রেসে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেভানিও। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতেই কানহাইয়া কুমার বলেন, “আমি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি, কারণ এটি শুধু একটি দল নয়, এটি চিন্তাধারাও। দেশের সবথেকে পুরনো ও সবথেকে গণতান্ত্রিক দল হল কংগ্রেস। আমি গণতান্ত্রিক কথাটির উপর আরও বেশি জোর দিতে চাই। কেবল আমি নই, অনেকেই মনে করেন কংগ্রেস ছাড়া আমাদের দেশের টিকে থাকা কঠিন।”

কংগ্রেসের প্রশংসা করে কানহাইয়া বলেন, “কংগ্রেস দলটি হল একটি বড় জাহাজের মতো, যদি এটি সুরক্ষিত থাকে, তবে আমি মনে করি বহু মানুষের আশা-আকাক্ষা, মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাধারা, ভগৎ সিংয়ের সাহসিকতা ও বিআর আম্বেদকরের সকলকে সমান অধিকারের ভাবনাও সুরক্ষিত থাকবে। সেই কারণেই আমি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি।”

কানহাইয়া জানান, এক ধরনের নির্দিষ্ট চিন্তাধারা গোটা দেশের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভবিষ্যতকে নষ্ট করছিল। তিনি আরও জানান যে দেশের কয়েক কোটি যুবও ভাবে যে কংগ্রেস ছাড়া দেশকে রক্ষা করা সম্ভব নয়।

২০১১ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পান পিএইচডি করতে এসেই রাজনীতির পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন কানহাইয়া কুমার। এআইএসএফ-এর প্রতিনিধিত্ব করেই জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সালে সংসদের জঙ্গি হামলার মূলচক্রী আফজল গুরুকে সমর্থন জানিয়ে দেশবিরোধী তকমা জোটে কানহাইয়ার। এরপরই তিনি সিপিআই-য়ের নতুন মুখ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে নিজের জন্মস্থান বেগুসরাই থেকে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিলেও বিজেপির গিরিরাজ সিংয়ের কাছে পরাজিত হন।

সিপিআইয়ের হাত ধরে নির্বাচনে ব্যর্থ হলেও কংগ্রেসে এসে তিনি সাফল্য পান কিনা তাই-ই দেখার। সূত্রের খবর, কানহাইয়াকে বিহারেই ব্যবহার করতে চায় কংগ্রেস। সম্প্রতি একের পর এক তরুণ মুখ কংগ্রেস ত্যাগ করায় এবং পঞ্জাব, ছত্তীসগঢ়ে সরকারের টলোমলো অবস্থা হওয়ায় বেশ বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের জন্যই কানহাইয়ার মতো তরুণ মুখের উপর আস্থা রাখতে চাইছে কংগ্রেস।

কানহাইয়া কুমারকে কংগ্রেসে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেন, “কানহাইয়া কুমার দেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতার এক প্রতীক। ছাত্র নেতা হিসাবে তিনি মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এই ধরনের এক উজ্জ্ব ল ব্যক্তিত্বের যোগদানে গোটা কংগ্রেসই এক নতুন শক্তি পাবে।”

আরও পড়ুন: Punjab: ‘নয়া সরকারের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন সিধুর পরামর্শদাতা?